Sleeping Position : রাতে ঘুমের সময়ে আমাদের শরীর ব্যস্ত থাকে সারা দিনের সব ধকল মুছে, নতুন করে কর্মশক্তি সঞ্চয় করতে। শরীরে যা ক্ষয় হয়েছে, তা-ও এ সময়ে মেটানোর চেষ্টা করে শরীর। মস্তিষ্কও কিছু ক্ষণ কম কাজ করে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু এই ঘুমানোর সময় আপনি নিজের অজান্তে ত্বকের ক্ষতি করছেন। আপনার ভুল শোয়ার পদ্ধতিতে আপনার ত্বক (Skin Care) ক্ষতির মুখে পড়ছে। চলুন জেনে নিই কিভাবে ঘুমানো উচিত নয়।
সঠিক ভাবে ঘুমানোর নিয়ম কি
পাশ ফিরে ঘুমানো : অধিকাংশ ব্যক্তিই শোয়ার সময় একটি পাশে ফিরে বুকের কাছে পা গুটিয়ে শুতে পছন্দ করেন৷ ওভাবে না শুলে তাদের ঘুম হয় না৷ দেখে অস্বস্তিকর মনে হলেও এইভাবে শুতেই ঘুমাতে পছন্দ করেন তারা৷ এইভাবে শোওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর বলে মনে করেন গবেষকরা৷ এইভাবে শুলে অ্যসিডের সমস্যা বাড়ে৷
এছাড়া যাদের মধ্যে বাতের ব্যাথা রয়েছে তাদের কখনওই এভাবে শোওয়া উচিত নয়৷ এতে ব্যাথা আরও বাড়ে৷ এক্ষেত্রে একটি পাতলা বালিশ দুই পায়ের ফাঁকে নিয়ে শোওয়া ভালো৷ তাতে পিঠের দিকে চাপ না পড়ে। কিন্তু এ ভাবে শোয়া অত্যন্ত খারাপ। শোয়ার সময় ত্বকের শ্বাস নেওয়া জরুরি। এ ভাবে শোয়ার ফলে রক্ত চলাচলেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। মুখে বলিরেখার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
উপুড় হয়ে ঘুমানো : উপুড় হয়ে শুলে সবচেয়ে বেশি বিপদ। অস্থিসন্ধি ও পেশির ওপর চাপ পড়ে। শরীরে ব্যথা বাড়ে, অসাড় হয়ে যেতে পারে শরীর। এমনকি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য এই ভঙ্গি মোটেই ভাল নয়। বালিশে মুখ গুঁজে শোয়ার ফলে মুখের ত্বকেও অক্সিজ়েন একেবারেই পৌঁছয় না। রক্ত সঞ্চালনের মাত্রাও ঠিক থাকে না এই ভঙ্গিতে। চোখের তলায় ফোলা ভাব, ত্বকের গ্রন্থিগুলি বুজে যাওয়া-সহ একাধিক সমস্যা হতে পারে এই ভঙ্গিতে শুলে।
বালিশে মুখ ঢেকে ঘুমনো : আপনি তখন শুয়ে থাকেন, তখন কোনও অ্যাক্টিভিটি হয় না। ওই সময় কোষগুলির মেরামত চলতে থাকে। তখন ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ জরুরি। এই সময় শরীরের কোনও অংশে যদি বালিশ চাপা দিয়ে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান, তা হলে ত্বকের প্রভূত ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। কারণ ওই ভাবে শোওয়ার ফলে ত্বক শ্বাস নিতে পারে না।
আরও পড়ুন : জিও-র দিন শেষ, ভারতে আসছে বিশ্বের দ্রুততম ইন্টারনেট পরিষেবা, মুকেশ আম্বানির মাথায় হাত
আরও পড়ুন : সমকামী জেনে তাড়িয়ে দেন বাবা-মা! সিনেমার থেকে কম নয় Laughtersane-এর জীবন
শোয়ার সঠিক নিয়ম
চিৎ হয়ে ঘুমানো : এটাই ঘুমোনোর সবচেয়ে ভাল ভঙ্গি। পিঠ দিয়ে শোয়ার ফলে ত্বকের সব গ্রন্থি ভাল মতো অক্সিজেন পায়। রক্তসঞ্চালনও ঠিক মতো হয়। এই ভাবে ঘুমোলে ত্বকে দাগছোপ পড়ে না। বালিশের তেল বা অন্যান্য ময়লাও ত্বকে লাগে না। ত্বকে চুলকানির ঝুঁকিও কম হয়।