এবারে রেলের তৎকাল টিকিট কাটুন আরও সহজে। সম্প্রতি আরএসএফ অর্থাৎ রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বেশ কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীর ব্যাবসা গোটানোর ব্যাবস্থা করেছেন। শহর জুড়ে জাল ছড়িয়েছিল বেশ কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী। বিভিন্ন এজেন্টরা অসাধু উপায়ে ট্রেনের টিকিট কাটতেন। এই অসাধু ব্যাবসায়ীরা বেশ কিছু জালি অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করতো। এই অসাধু ব্যাবসায়ীরা মূলত ‘Jaguar’, ‘Mac’, ‘ANMS’ মতো অ্যাপ ব্যাবহার করে অসাধু উপায়ে টিকিট বুকিং করতো। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স এরকম বেশ কিছু অসাধু ব্যাবসায়ীদের গ্রেফতার করেছে। সাধারণত সঠিক উপায়ে রেলের তৎকাল টিকিট বুকিং করতে সময় লাগে প্রায় ২.৫৫ মিনিট এবং যারা অসাধু উপায়ে তৎকাল টিকিট বুকিং করে থাকতো তাদের টিকিট বুকিং করতে সময় লাগতো ১.৪৮ মিনিট।
২০২০ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি এবং ১২ই ফেব্রুয়ারি রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স একটি অভিযান চালায়। এই অভিযানে মোট ৩৯৩ জন অসাধু এজেন্টদের গ্রেফতার করেছেন আরএসএফ। মোট ৩১৮ জন অসাধু ব্যাবসায়ীদের আইডি ব্লক করা হয়েছে। এবং মোট ৩৭.৮৬ টাকার ভবিষ্যৎ টিকিট ব্লক করেছেন এবং মোট ১.১৯ টাকার ব্যবহৃত টিকিট উদ্ধার করেছেন। অসাধু ব্যাবসায়ীরা যে Jaguar’, ‘Mac’, ‘ANMS’ মতো অ্যাপগুলি ব্যাবহার করতেন সেই অ্যাপগুলি ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ করে দিয়েছেন আরএসএফ। এছাড়াও আই বল ও রেড বুল এর মতো অসাধু অ্যাপগুলিও বন্ধ করে দিয়েছেন আরপিএফ।
ভারতীয় রেলের আইটি আধিকারিকরে অবৈধ সফটওয়্যার গুলি বন্ধ করে দিচ্ছেন। রেলের তৎপরতায় বেশ কিছু অবৈধ ব্যাবসায়ীদের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। খবর পাওয়া গিয়েছে অবৈধ ব্যবসায়ীদের অ্যাপগুলি কাজ করা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
রেলের এই পদক্ষেপে বেশ কয়েকটি ট্রেনের টিকিটের সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
২০৮০২ মগধ এক্সপ্রেসের তৎকাল এসি ক্লাসের ট্রেনের বুকিং ২৬শে অক্টোবর ২০১৯ এ বন্ধ হয়ে যায় ১০.০২.১৮ ঘন্টায় এবং ৯ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ তে ট্রেনের তৎকাল টিকিট বুকিং বন্ধ হয়ে যায় ২০.২১.১৬ ঘন্টায়। ১২৩৯৩ আওম্পূর্মা ক্রান্তি এক্সপ্রেস এর তৎকাল এসি ক্লাসের বুকিং ১৬ই নভেম্বর ২০১৯ সালে বন্ধ হয়ে যায় ১০.০৪.১১ ঘন্টায় এবং ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে ট্রেনের বুকিং বন্ধ হয়ে যায় ১০.১৭.২৬ ঘন্টায়। সময়ের এই পার্থক্য দেখে বোঝা যায় তৎকাল টিকিট বুকিং পরিষেবা আগের থেকে উন্নত হয়ে গিয়েছে।