২৩ ফুট লম্বা শাড়ি পরে মেটাগালায় হাজির আলিয়া! খরচ কত হল?

২৩ ফুট লম্বা শাড়ি পরে মেটাগালায় হাঁটলেন আলিয়া! তার জন্য খরচ কত হল?

Riya Chatterjee

Published on:

গতবারের মত এবারও নজর কাড়লো আলিয়া ভাটের মেটাগালা সাজ। প্রথমবার সাদা রঙের গাউনে সাদা পরীর মত সেজেছিলেন আলিয়া। ২০২৪ সালের মেটাগালার অনুষ্ঠানে আলিয়া শাড়ি পরে ভারতীয় সাজকেই উপস্থাপন করলেন বিদেশি রেড কার্পেটে। সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের তৈরি আলিয়ার প্যাস্টেল সবুজ রঙের নেটের শাড়ি এখন চর্চায় রয়েছে।

মেটাগালার এবারের থিম ছিল ‘দ্য গার্ডেন অফ টাইম’। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলিয়ার শাড়িতেও ছিল ফুলের বাহার। প্রায় ২৩ ফুট লম্বা এমন একখানা শাড়ি বানাতে ১৯৫৬ ঘন্টা সময় লেগেছে। শাড়ির কারুকার্যের ডিটেইলস নজর কেড়েছে সকলের।

ALIA BHATT

আলিয়ার প্যাস্টেল সবুজ রঙের নেটের শাড়ির সর্বাঙ্গ জুড়ে সাদা আর গোলাপি ফুল চোখে পড়েছে। সিল্ক ফ্লস, পুতির টাসেল ও গ্লাস বিড দিয়ে তৈরি হয়েছে ফুলগুলো। শাড়ির লম্বা আঁচল রেড কার্পেটে লুটিয়ে ছিল। তাতে এমব্রয়ডারির কাজ চোখে পড়েছে। এই ফ্যাশন ইভেন্ট থেকে আলিয়ার অনেক ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। আলিয়ার সাজ অনেকের খুব পছন্দ হয়েছে।

মেটাগালা আসলে পৃথিবীর সবথেকে নামি এবং দামি ফ্যাশন ইভেন্ট বলা যেতে পারে। বিশ্বের তাবড় তাবড় সেলিব্রেটিরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসেন। তবে যে কেউ কিন্তু এই অনুষ্ঠানে ঢুকতেই পারবেন না। কারণ এই ফ্যাশন ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য টিকিটের যে দাম তা কার্যত আকাশ ছোঁয়া।

ALIA BHATT

মেটাগালার টিকিটের দাম কত?

মেটাগালার এক একটি টিকিটের দাম ৭৫ হাজার ডলার থেকে শুরু হয়। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৩ লক্ষ টাকা। একটা পুরো টেবিল বুক করতে গেলে খরচ হবে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২ কোটি ৯২ লক্ষ টাকার সমান। ফ্যাশন ডিজাইনাররাই মূলত তাদের সংস্থার তরফ থেকে টেবিল বুক করেন।

আরও পড়ুন : বলিউডের সবথেকে ধনী ৯ তারকা দম্পতি, যাদের সম্পত্তির পরিমাণ ঘুরিয়ে দেবে মাথা

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Alia Bhatt 💛 (@aliaabhatt)

আরও পড়ুন : বাথরুমে এই নোংরা কাজ করেন আলিয়া ভাট! স্ত্রীর সিক্রেট ফাঁস করে দিলেন রণবীর কাপুর

আলিয়ার ক্ষেত্রে আলিয়া ভাট নিজেই টিকিট বুকিং করেছেন নাকি তার ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের সংস্থা এই খরচ বহন করেছে তা জানা যায়নি। উল্লেখ্য, মেটাগালা অনুষ্ঠানে যে পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ হয় তা মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্টের কস্টিউম ইনস্টিটিউটের ফান্ডে জমা হয়।