বাংলা ধারাবাহিকপ্রেমী (Bengali Mega Serial) অথচ লীনা গাঙ্গুলীর (Leena Ganguly) নাম শোনেননি এমন দর্শক কার্যত খুঁজে পাওয়া ভার। একাধারে তিনি লেখিকা, চিত্রনাট্যকার, পরিচালক এবং প্রযোজকও বটে। লীনা গাঙ্গুলীর মস্তিষ্কপ্রসূত গল্প থেকে বাংলা টেলিভিশনে উঠে এসেছে একের পর এক সুপারহিট ধারাবাহিক। এখনও পুরো দমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এই মুহূর্তে স্টার জলসাতে এক্কাদোক্কা, ধূলোকণা, গুড্ডি, খড়কুটো ধারাবাহিকের গল্প লিখছেন।
রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য হওয়ার সুবাদে সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝেও একাধিক সিরিয়ালের জন্য গল্প লিখছেন লীনা গাঙ্গুলী। অথচ তার ধারাবাহিকের গল্প নিয়ে মাঝে মধ্যেই ট্রোলিং শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। এমনকি তার লেখা গল্প ‘গাঁজাখুরি’, গাঁজাখুরি গল্প লেখার জন্য তার পুরস্কার পাওয়া উচিত, এমন ধরনের বহু কটাক্ষ করেছেন নেটিজেনরা।
তবে এবার সেই নেটিজেনরাই লীনা গাঙ্গুলীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পেজের তরফ থেকে একটি পোস্ট করে লীনা গাঙ্গুলীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন জনৈক নেটিজেন। তার কথায় লেখিকার সমস্ত গল্পে নতুনত্ব থাকে। ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকারা সর্বগুণ সম্পন্ন নয়, এমন বাস্তবচিত্র কেবল তার লেখনীর মাধ্যমেই ফুটে ওঠে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন লীনা গাঙ্গুলী ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকে দিঠির মাসিকের মত বিষয় তুলে ধরেছিলেন। মোহরের মাধ্যমে বলিয়েছিলেন, ‘কেউ মেয়ে হয়ে জন্মায় না সমাজ তাকে করে’, কিংবা ‘এখনও মেয়েদের বিয়ে হয় ছেলেরা বিয়ে করে।’ আবার খড়কুটোর নায়িকাও সর্বগুণসম্পন্না নয়।
লীনা গাঙ্গুলী খড়কুটোতে গুনগুনকে ফেল করিয়েছিলেন। আবার সে সুগায়িকাও নয়। বরং তার বেসুরো গলায় গান শুনে হেসে কুটোপাটি হয়েছেন দর্শকরা। শুধু তাই নয় খড়কুটোর হিরো বাবিনেরও তথাকথিত নায়কসুলভ ৬ প্যাক বডি দেখাননি লেখিকা। বাস্তবসম্মতভাবে ধারাবাহিকের উপস্থাপনা করার জন্য তাই প্রশংসা পাচ্ছেন লীনা গাঙ্গুলী।
অন্যদিকে ধূলোকণা ধারাবাহিকের ফুলঝুরি চরিত্রটি এক বস্তিবাসী মেয়ের চরিত্র। সেখানেও ধরা পড়েছে বাস্তব চিত্র। আবার গুড্ডি ধারাবাহিকেও স্কুল পড়ুয়া একটি মেয়ের দুষ্টুমিগুলোকে ভালভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। একসময় এই নেটিজেনরাই লীনা গাঙ্গুলীর লেখা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করেছেন। তার লেখা সম্পর্কে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করেছেন। তবে লেখিকা যেভাবে তার ধারাবাহিকের প্রত্যেকটি চরিত্রে অভিনবত্ব আনছেন তাতে ট্রোলাররাই হয়ে উঠলেন তার লেখনীর ভক্ত।