২০২০ সালে বিশ্বকে থামিয়ে দিয়েছে মারণ ভাইরাস কোরোনা। বিশ্বের প্রভাবশালী এবং উন্নত দেশগুলো মাথা নত করেছে এই মারণ ভাইরাসের সামনে। ইতালি, স্পেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, এই দেশগুলো যেন একপ্রকার ধ্বংসের মুখে। ধ্বসে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি। অনেকের মতে এটি জৈবিক মানবাস্ত্র, অনেকের মতে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। কিন্তু এর মধ্যেই সামনে এলো এক আশ্চর্য কথা। এই অবস্থার ভবিষ্যতবাণী হয়ে গেছিল আগেই! ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এক কিশোর।
২০১৯ সালের ২২ আগস্ট ইউটিউবে একটি ভিডিওতে এই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। ভিডিওটি প্রকাশ করেছিলেন আনন্দ কুমার নামে এক কিশোর যিনি জ্যোতিষ শাস্ত্র পারদর্শী। আর সেই ভিডিওতেই ছিল এই ভাইরাসের ইঙ্গিত। তবে ভিডিওটি তে রোগের নাম উল্লেখ করেনি সেই কিশোর, শুধু এতটুকুই বলেছিল যে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে একটি রোগ দেখা দেবে যা পুরো বিশ্বকে বড় সমস্যার মুখে ফেলবে এবং বিশেষ ভাবে ভারতবর্ষ এই রোগের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
শুধু এটুকুই নয়, যে সময়কাল এই ভিডিওতে উল্লেখ করা হয় তাও মিলে গেছে হুবহু। বলা হয় যে ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময় খুব খারাপ যেতে চলেছে।তবে তিনি এও বলেন ধৈর্য্য ধরলে এই পরিস্থিতি অতিক্রম করা সম্ভব। এই ভবিষ্যতবাণী যেন সম্পূর্ণ মিলে গেছে বর্তমানের বিশ্বের ভয়াবহ পরিস্থিতির সাথে। তবে শুধু এটুকুই নয় যুদ্ধের ইঙ্গিত দেন তিনি। তিনি বলেন এই উক্ত সময় কলের মধ্যে যুদ্ধে ইরান সহ কিছু দেশের ক্ষতি হবে। অর্থনীতি ভেঙে যাবে, যার প্রভাব পড়বে ভারতের ওপরও। বিশ্বের অর্থনীতি থেকে আন্তরদেশিয় পরিষেবা সবকিছুই পড়বে ক্ষতির মুখে।
আরও পড়ুন :- বিশ্বে প্রথম করোনা ভাইরাস ছড়ানো ব্যক্তিকে অবশেষে খুঁজে পাওয়া গেল
বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি বলেন যে তিনি যুদ্ধের উল্লেখ করলেও বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা যুদ্ধের থেকে কম নয়। তবে এই পরিস্থিতি কমে সামাল দাওয়া যাবে সেই নিয়েও সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। তিনি বলেন ২৯ তারিখ থেকে ২ তারিখ সময়টা খুব বিপদজনক ল, শুধু তাই না ৩১ এবং ১ তারিখ ভীষন খারাপ সময় আসতে চলেছে।এই সময় যেন সকলে বাড়ির মধ্যেই থাকে, সেই অনুরোধ জানান তিনি এবং সেই সাথে তুলসী পাতা, কাচা হলুদ খেতে এবং জোয়ান – আদা দিয়ে গরম জলের ভাপ নিয়ে শরীরের ইমিউনিটি বাড়ানোর কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন :- ভারতে করোনা সংক্রমণ এখন কোন স্টেজে, জানিয়ে দিল কেন্দ্র
এই মহামারীর থেকে মুক্তির কথা হিসেবে তিনি বলেন ২৯ সে মে এর পর থেকেই ধীরে ধীরে বিশ্ব থেকে বিদায় নেবে এই মারণ মহামারী।তবে সেই গতি হবে খুব ধীর।২৯ মে এর পর থেকে কমবে এর প্রভাব।আর তারপর থেকেই ধীরে ধীরে বিশ্বের মানুষের জীবন হবে স্বাভাবিক। তবে এই ভবিষ্যতবাণী সত্যি হয় নাকি সেই দিকেই এখন তাকিয়ে বসে সবাই।