কোরোনা ভাইরাসের নাম COVID-19 হল কীভাবে

সারা বিশ্ব এখন কোরোনা ভাইরাস মহামারীর গ্রাসে। বিজ্ঞানীদের মতে এটি একটি জুনেটিক ভাইরাস যা অন্য কোনো প্রাণীর দেহ থেকে মানব শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে। তবে ২০২৯ এর শেষ দিক পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের কাছে এই ভাইরাস অপরিচিত ছিল।সারা বিশ্ব যখন এই ভয়ঙ্কর মহামারীর কবলে তখন কোভিড ১৯ কথাটি সবার কাছে খুব পরিচিত। কিন্তু আপনারা কি এটা ভেবেছেন যে এই কোভিড ১৯ কথাটি এলো কোথা থেকে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

কোরোনা ভাইরাস এর নাম কেন হলো কোভিড ১৯?

বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা ভাইরাস মিডল ইস্ট রিস্পেরেটরী সিনড্রোম বা মার্স (MARS – COV) এবং সেভার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সার্স (SARS – COV) এর মতনই অনেকটা। সার্স এশিয়ার ২৫, টি দেশে ৮,০০০ এরও বেশি মানুষদের প্রভাবিত করে। অন্যদিকে মার্স মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং ৯২ টি রিপোর্টেড কেস এবং ১২ জনের মৃত্যু হয়। পর্যালোচনা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুবিধার্থেই এই ভাইরাসের নাম দাওয়া হয় কোভিড ১৯। কোরোনা ভাইরাস সার্স এবং মার্স গোষ্ঠীভুক্ত ভাইরাস, তাইজন্য এর নাম দাওয়া হয় কোভিড ১৯।

কোরোনা ভাইরাস বনাম কোভিড ১৯

ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন বা হ্ন এর মতে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ টক্ষণমি অফ ভাইরাস এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অফ ডিসিস কমিটি এর রিপোর্ট অনুসারে কোভিড ১৯ রোগটি ২০০৩, সালে এসিয়া মহাদেশে ঘটা সার্স এর মতনই জেনেটিকালি।এটি মূলত সিভেট বিড়ালগুলিতে সৃষ্ট ভাইরাস থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন :- করোনা ভাইরাস নিয়ে সমস্ত প্রশ্ন ও তার উত্তর

কিন্তু সারস-কোভ -২ নামকরণের ফলে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হতে পারে। সুতরাং হ্ন এবং এর সাথে জড়িত কমিটিগুলি ভাইরাসটির নামকরণ করেছে কোভিড -১৯। কোরোনা ভাইরাস গোষ্ঠীর ভাইরাস হওয়ার কোভিড এবং এই ভাইরাসটি চীনের উহান প্রদেশে ২০১৯ সালে খুঁজে পাওয়া যাওয়ায় ১৯।

কোরোনা ভাইরাস এবং কোভিড -১৯ এর পার্থক্য

কোরোনা ভাইরাস একটা ভাইরাস যেটা কোনো হোস্ট থেকে ছড়িয়ে পরে এবং শরীরে সেই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে যে অসুখটি হয় তার নাম কোভিড -১৯। কোরোনা ভাইরাসের জন্যই কোভিড -১৯, সার্স, মার্স এর মতন মহামারী ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন :- সর্দি জ্বর আর করোনা জ্বরের পার্থক্য, করোনা জ্বর হয়েছে বুঝবেন কীভাবে

এই কোরোনা ভাইরাসের বেঁচে থাকার জন্য সবসময় একটি হোস্ট এর প্রয়োজন, সেটা কোনো পশুও হতে পারে আবার মানুষও হতে পারে। তবে কোভিড -১৯ এর জন্য কোরোনা ভাইরাসের যে জিনটি দায়ী সেটা সাধারণত বাদুড়ের মধ্যে দেখা যায় এবং বাদুড় থেকেই মানব দেহে সংক্রমিত হয়ে আরও ভয়াবহ রূপ নিয়ে থাকে। এই ভাইরাসই বর্তমানে বিশ্ব মহামারীর কারন।