সাধারণত গরমে মশার প্রকোপ বাড়ে। সন্ধ্যা হলেই তারা উড়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে, ঠিক ঠিক খুঁজে নেয় শরীরের অনাবৃত কোন অংশ। তারপর আপনার অজান্তেই শুষে নেয় রক্ত। মশা কামড়ানোর পরে লাল, গোল দাগ চামড়ার মধ্যে ফুটে ওঠে। মশা কামড়ানোর পড়েই জায়গাটা চুলকাতে শুরু করে। মশা কামড়ালেই সারা রাতের ঘুম চলে যায়। আপনি কি জানেন শুধুমাত্র পুরুষ মশাই কামড়ায়, মহিলা মশা নয়। জলেতেই মশার বংশবৃদ্ধি হয়। সেখানেই ডিম পাড়ে। মশার কামড় খান নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন মশা কেন কামড়ায়? মশা কামড়ালে কেনই বা চুলকায়?

আরও পড়ুন : বাড়িতে টিকটিকি থাকা কি শুভ ? না অশুভ ?
মশা কামড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে চামড়ার ওপর থেকে একটি গর্ত হয়ে যায়। মশা কামড়ানো মাত্রই মানুষের দেহ থেকে রক্ত শুষে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। ফলে, মশার লালার মধ্যে থাকা এনজাইম একটি এলার্জির কারণ, যাতে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। কিছু সময় আমাদের শরীরের মধ্যে জমা হয় না। সহজেই মশার রক্ত নষ্ট করে। লালা মধ্যে রাসায়নিক আমাদের ত্বককে লাল করে দেয় এবং চামড়ার ওপরের অংশ ফুলে ওঠে।

মশা কামড়ালে চুলকানোর বৈজ্ঞৈনিক ব্যাখ্যা
যখন মশা আপনার চামড়ার উপর একটি জোড়া টিউব গঠিত হয়। যখন সে তার শৈলীটি ত্বকে ভাঁজ সৃষ্টি করে এবং তারপর সেই পাত্র থেকে রক্ত শুষে নিতে শুরু করে। মশার লালায় কিছু অবশকারী এবং রক্তজমাটরোধী পদার্থ থাকে, যে কারণে মশা কামড়াবার সময় আপনি টের পান না। এই লালা শরীরে প্রবেশ করে অনেকের ক্ষেত্রে এক ধরনের এলার্জিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে ফলে আক্রান্ত স্থান ফুলে যায় এবং বেশ চুলকায়। এটা ততক্ষণ পর্যন্ত থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লালার এই প্রোটিন উপাদানগুলোকে ভেঙ্গে না ফেলে। লালাটি কিছু রাসায়নিক, এনজাইম এবং প্রোটিন রয়েছে যা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং এর কারণে রক্ত কিছু সময়ের জন্য বমি বমি অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন : মশা মারা ধুপ দিয়ে নয় মশা মারুন লেবু আর লবঙ্গ দিয়ে

মশার কামড়ের চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন ?
- মশার কামড়ের জ্বলুনি থেকে মুক্তি পেতে এক টুকরো বরফ ঘষে নিন।
- আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরার জেলটুকু লাগিয়ে নিন। পোকার কামড়ের জ্বলুনি দ্রুত কমাতে এটি দারুণ কাজে দেয়।
- আক্রান্ত স্থানে এক ফোঁটা মধু লাগিয়ে দেখুন কেমন চট করে গায়েব হয়ে গেছে চুলকানি।
- এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে মিশ্রণটি দশ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
- মশা কামড়ালে যদি চুলকায় তবে ওই স্থানে দুই টুকরো লেবু ঘষে নিলে চুলকানি কমে যাবে। কারণ লেবুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, সাইট্রিক অ্যাসিড ও অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান থাকে যা চুলকানি দূর করে।
- শরীরের যে কোন অংশে মশা কিংবা পোকার কামড়ের চুলকানি দূর করতে কুসুম গরম পানিতে বাথটাব ভরে তাতে দুই কাপ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে মিনিট দশেক শরীর ডুবিয়ে রাখুন।
- আক্রান্ত স্থানে ওটমিলের পেস্ট তৈরি করে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুলকানি কমে যাবে।
আমাদের প্রতিটি পোস্ট WhatsApp-এ পেতে ⇒ এখানে ক্লিক করুন
সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের ফলো করুন : Facebook Instagram Twitter