হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ভোটের দিনক্ষণ। তাই স্বভাবতই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ভোটের দিন ঘোষণার পর শাসকদল তৃণমূলের রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভ-বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়েছে। বহু নেতা-নেত্রী ছাড়াও অন্যান্যদের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখাতে দেখা গিয়েছে। ফলে রাজনৈতিক মহলের মতে শাসকদল তৃণমূল কিছুটা হলেও চাপে রয়েছে। তবে জনমত সমীক্ষায় উঠে আসছে এর উল্টো ফলাফল।
CNX ও ABP-র জনমত সমীক্ষার ফলাফল (মার্চ)
সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে যদি রাজ্যে ভোট হয় তাহলে শাসকদল তৃণমূল পেতে পারে ১৫৪ থেকে ১৬৪ টি আসন। অন্যদিকে বিজেপি পেতে পারে ১০২ থেকে ১১২ টি আসন। ২২ থেকে ৩০ টি আসন পেতে পারে সংযুক্ত মোর্চা এবং অন্যান্যদের ঝুলিতে আসতে পারে এক থেকে তিনটি আসন। CNX-ABP জনমত সমীক্ষার এই চূড়ান্ত ফলাফল আনা হয়েছে রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১১৭ টি বিধানসভা কেন্দ্রের নমুনা সংগ্রহ করে।
C-Voter এবং ABP-র জনমত সমীক্ষার ফলাফল (জানুয়ারি)
এর আগে C-Voter এবং ABP সমীক্ষা চালিয়ে জানুয়ারি মাস বলেছিল সেই সময়ে রাজ্যে ভোট হলে তৃণমূল পেতে পারে ১৫৪ থেকে ১৬২ টি আসন। সেক্ষেত্রে বিজেপির সম্ভাব্য আসন সংখ্যা সম্বন্ধে বলা হয়েছিল ৯৮ থেকে ১০৬ টি। বাম ও কংগ্রেস জোটের সম্ভাব্য আসন সংখ্যা বলা হয়েছিল ২৬ থেকে ৩৪ টি।
CNX ও ABP-র জনমত সমীক্ষার ফলাফল (ফেব্রুয়ারি)
CNX ও ABP-র জনমত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল শাসক দল তৃণমূল পেতে পারে ১৪৬ থেকে ১৫৬ টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ১১৩ টি থেকে ১২১ টি আসন। বাম ও কংগ্রেস জোটের সম্ভাব্য আসনসংখ্যা হিসাবে বলা হয়েছিল ২০ থেকে ২৮ টি আসন এবং অন্যান্যদের বলা হয়েছিল এক থেকে ৩টি আসন।
জনমত সমীক্ষা কতটা সঠিক?
ভারতবর্ষের নির্বাচনের ইতিহাসে এর আগে একাধিক নির্বাচনে জনমত সমীক্ষা অনেক ক্ষেত্রেই হুবহু মিলতে দেখা গিয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এই সকল সমীক্ষার ফলাফলকে উড়িয়ে দিয়ে পালটেও গেছে নির্বাচনের ফলাফল। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এখনো পর্যন্ত করা সব সমীক্ষায় শাসকদল তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন অবশ্যম্ভাবী।