ক্ষমতায় এলে বাংলাতেও হবে ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’, হুঁশিয়ারি আদিত্যনাথের

একুশের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে রাজ্য রাজনীতি বেজায় সরগরম। সারা রাজ্য জুড়ে এই মুহূর্তে জোর ভোটের প্রচার চলছে। রাজ্য শাসক দল, কেন্দ্রীয় শাসক দল উভয় পক্ষই কার্যত এই মহাযুদ্ধে একে অপরের সামনে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। একুশের লড়াইয়ে, রাজ্যের মসনদ থেকে ঘাসফুল উপড়ে পদ্ম ফোটানোর প্রচেষ্টায় রয়েছে কেন্দ্রীয় শাসক দল। এই উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা বারংবার বাংলা সফর করে ভোটের প্রচারে নামছেন, অপরদিকে কেন্দ্রীয় শাসকদলের নিয়ন্ত্রণাধীন অন্যান্য রাজ্য থেকেও রাজনৈতিক নেতৃত্বস্থানীয়রা বাংলায় এসে পদ্মফুলের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

সম্প্রতি যোগী আদিত্যনাথ বাংলা সফর করে হুগলির চাঁপদানিতে বিজেপির তরফ থেকে আয়োজিত এক জনসভায় অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তিনি ভোটযুদ্ধে জয়লাভের পর বিজেপি বাংলার জন্য কি কি করবে তার একটি খতিয়ান পেশ করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, “অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড” গঠন! ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। শপথ গ্রহণের মাত্র দু’দিন পরই ‘নারীর সম্মান রক্ষার জন্য’ অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড গঠন করা হয়েছিল।এই দল গঠনের উদ্দেশ্য ছিল, ‘কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা’ এবং ‘ইভটিজিং বন্ধ করা’।

বিজেপি বরাবর বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে। হুগলির চাঁপদানির জনসভায় সেই প্রসঙ্গ উস্কে দিয়ে যোগীর আশ্বাস একুশের লড়াইয়ে বিজেপি ভোট যুদ্ধে জয়লাভ করলে “বাচ্চা মেয়েদের স্কুলের সামনে যে সমস্ত গুন্ডারা ঘুরে বেড়ায়, তাদের জন্য স্কুলের বাইরে ঘুরবে ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’”। প্রসঙ্গত, এই দফার নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলকে টেক্কা দিতে মহিলাদের সুরক্ষা এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রতি নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় শাসকদল। তাই শাসক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে যেমন একদিকে কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত মহিলাদের নিখরচায় পড়াশোনার আশ্বাস প্রকাশিত হয়েছে, তেমন অপরদিকে মহিলাদের জন্য নিখরচায় গণপরিবহনের আশ্বাসও মিলেছে।

   

অবশ্য যোগীর এমন প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেননি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, যে রাজ্যে প্রতি ১৬ মিনিটে একজন নাবালিকার উপর নির্যাতন হয়, সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি বাংলায় এসে এই ধরনের কথা বলেনও তাতে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা কমবে বৈ বাড়বে না। একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, সরস্বতী পুজো কিংবা নববর্ষের মতো উৎসবের দিনে শহরে বিশেষ নজরদারি চালানোর উদ্দেশ্যে কলকাতা পুলিশের একটি “অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড”ও রয়েছে।