আমাদের এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে ওম মন্ত্র এমন একটি মন্ত্র যা যেকোনও পূজোয় উচ্চরণ করতে হয়, তাছাড়ও ধ্যান করতে গেলেও ওম মন্ত্র উচ্চারণ করা হয়। ওম মন্ত্র উচ্চারণ করতেন হাজার হাজার বছর আগের মুনি ঋষিরা। সেই থেকে সাধারণ মানুষেরা জপ করতে শুরু করেন। ওমন মন্ত্র এমনই শক্তিশালী মন্ত্র তা যেকোনও অশান্তি দূর করতে সাহায্য করে। মনে একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়, শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও ওম মন্ত্র পাঠ করলে আরও যে উপকার গুলি হয় সেগুলি হল-
১. মন খুশিতে ভরে ওঠে- সকালে প্রায় ত্রিশ মিনিট ধরে ওম মন্ত্র জপ করলে শরীরের ভিতর থেকেই ক্লান্তি, দুঃখ দূর হয়। মনে একটা পজিটিভ ধারণ আসে। মন খুশিতে ভরে ওঠে।

২. মনোযোগ বেড়ে যায়- ওম মন্ত্র পাঠ করলে শরীরের অন্তরে মনোযোগ তৈরি হয়। যে কোনও কাজে আগ্রহ বেড়ে যায়। তাই কর্মজীবন এবং পড়াশোনায় আরও সফলতা পেতে প্রতিদিন সকালে “ওম” মন্ত্র পাঠ করা শুরু করুন। দেখবেন সফলতা আপনার থেকে বেশি দিন দূরে থাকতে পারবে না।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়- আমাদের জীবনে অসুস্থতা দৈনন্দিন জাবনের একটা অঙ্গ বলা যেতে পারে। রোগমুক্ত কোনও ভাবেই আমনরা হতে পারি না। তাই ওম মন্ত্র পাঠ করাটা জরুরী। কারণ,প্রাচীন পুঁথিতে উল্লেখ রয়েছে এই মন্ত্রটি পাঠ করার অভ্যাস করলে ইমিউনিটি বাড়তে শুরু করে। ফলে রোগ ভয়ে সরে যায়।

৪. সাইনাসের সমস্যা সেরে যায়- অনেকেরই সাইনাসের সমস্যায় মাথার যন্ত্রনা, চোখের যন্ত্রনা এসব হয়। তাই ওম মন্ত্র উচ্চারণ করলে ভোকাল কর্ড এবং সাইনাসে স্পন্দন তৈরি হয়। যার ফলে সাইনাসেরর সমস্যা সেরে যায়।

৫. মানসিক চাপ দূর হয়- দশটার-পাঁচটার অফিসে কাজের ঠেলায় প্রতিদিনই মানসিক চাপ এসে পড়ে আমাদের ঘাড়ে। এই চাপের কারণে অধিকাংশ মানুষ হিনমন্যতায় ভোগেন। তাই তাদের আরও বেশি করে ওম মন্ত্রের সাহায্য নেওয়া নেওয়া উচিত। কারণ আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে এই মন্ত্রটি জপ করলে শরীর এবং মস্তিষ্ক শান্ত হতে শুরু করে। ফলে মানসিক চাপ দূর হয়।

৬. হার্টের সমস্যা দূর হয়- হৃদরোগ বলে কয়ে আসে না। যখন তখন হতে পারে আর যে কোনও বয়সেই হতে পারে। তারজন্য অনেক সময় মৃত্যু অবধি হয়। কিন্তু ওম মন্ত্র জপ করলে শরীরের রক্তচাপ একেবারে স্বাভাবিক মাত্রায় এসে য়ায়। সেই সঙ্গে হার্টের পাশাপাশি সারা শরীরে রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটে। তাই হার্টের সমস্যা দূর হয়।

৭. ত্বক সুন্দর হয়ে উঠে- আজকের তন্বীরা নিজেকে সুন্দরী করে তুলতে কত কিই না ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু তার থেকেও কার্যকরী ওম মন্ত্র জপ। প্রতিদিন ওম মন্ত্র জপ করলে আমাদের শরীরের ভিতরে পজিটিভ এনার্জি দেখা দেয় আর তার প্রভাব পরে ত্বকের ওপরে। এই মন্ত্রটিকে রোজের সঙ্গী করলে সার্বিক ভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

৮. থাইরয়েড সমস্যা কমে- এখন থাইরয়েড আকছছাড় হয়ে দেছে। প্রায় বেশিরভাহগ জনই থাইরয়েড সমস্যায় ভুগে থাকেন। কিন্তু ওম মন্ত্র জপ করার ফলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কোনও ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।