১৪ই ফেব্রুয়ারি দিনটির সাথে জড়িয়ে রয়েছে মর্মান্তিক স্মৃতি। গত বছর পুলওয়ামা হামলায় কেঁপে ওঠে ভারত। এই দিনটিতে জম্মু ও শ্রীনগরের পুলওয়ামার অবন্তীপাড়ার কাছে ইসলামপন্থী জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এর চক্রান্তের শিকার হয় সিআরপিএফ। জইশ জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় মারা যায় ৪০ জন রিজার্ভ পুলিশবাহিনীর কর্মী। তাঁদের কফিনবন্দী দেহ নিয়ে আসার ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিলেন ভারতবাসী। প্রেমের দিনে নিজেদের কাছের মানুষদের হরিয়েছিলেন ৪০ টি পরিবার।
এরপর! এরপর শুধুই প্রতিশ্রুতি। সিআরপিএফ জওয়ানদের মৃত্যু নিয়ে শুধুই রাজনীতি চলেছে। ভোটবাক্স ভরতি করতে ভারতবাসীদের সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দিয়ে জওয়ানদের উদ্দ্যেশ্যে রাজনীতিকদের মেকি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। জওয়ানদের পরিবার আদেও কেমন আছেন তা জানার চেষ্টা করা হয়নি।
২০১৯ এর পর ১৪ই ফেব্রুয়ারি দিনটি ভারতীয়দের কাছে ব্ল্যাক ডে। একবছর পর আবারও সেই দিন তাই মঞ্চে উঠে শহিদদের স্মৃতির উদ্দ্যেশ্যে রাজনীতিবিদরা যখন মেকি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন তখনই পুরোনো স্মৃতি সামলে নিয়ে পেট চালাতে সব্জি বিক্রি করছেন পুলওয়ামা হামলার শহিদের স্ত্রী।
পুলওয়ামা হামলায় শহিদ হয়েছেন বিজয় সোরেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলির থেকে সমবেদনা পেয়েছেন ঠিকই কিন্তু কোনোরকম সাহায্য পাননি। তাই স্বামীর মৃত্যু দিনে শোক সামলে ঝাড়খন্ডের সিমরেগা বাজারে বসে সবজি বিক্রি করছেন বিমলা দেবী। একবছর পর শহিদদের স্মৃতির উদ্দ্যেশ্যে যখন ভাষন ও মাল্যদান চলছে ঠিক সেইসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় বিমলা দেবীর বাজারে বসে সবজি বিক্রি করার ছবি।
এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা এর তীব্র প্রতিবাদ করেন। এর আগেও বিমলা দেবীকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আশ্বাসের কথা দিয়েছিল সরকার যদিও সেই সাহায্য বিনলা দেবী পর্যন্ত পৌঁছায়নি। ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নজরেও পড়ে এই ছবি। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎক্ষণাৎ বিমলা দেবীকে সাহায্যের পদক্ষেপ নেন।
.@dc_simdega शहीद देश की धरोहर होते हैं। कृपया इनकी हर सम्भव मदद करते हुए ज़रूरी सभी सरकारी योजनाओं का लाभ जल्द से जल्द पहुँचाते हुए सूचित करें।
ध्यान आकृष्ट कराने के लिए बहुत बहुत धन्यवाद प्रशांत भाई। सरकार की तरफ़ से इन्हें हर सम्भव मदद की जाएगी। https://t.co/JDat37k9Ry
— Hemant Soren (@HemantSorenJMM) February 14, 2020
সিমরেগা জেলাশাসকের কাছে পৌঁছায় খবর। বিমলা দেবীকে দ্রুত সাহায্য করার আদেশ দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বিমলা দেবীর বাড়িতে ভিড় জমায় সরকারি আধিকারিকরা। বিমলা দেবীকে আবারও সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু এবারও কি ভোট কুড়োতে মেকি প্রতিশ্রুতি নাকি সত্যিই বিমলা দেবী সাহায্য পাবেন তা বলবে সময়।