বদলে গেল নাইট কার্ফুর সময়, ওই সময় যা যা করা যাবেনা

night-curfew-outside-containment-zones-to-remain-but-for-lesser-duration

চতুর্থ দফার লকডাউন যখন শেষের মুখে তখন থেকেই শোনা যাচ্ছিল লকডাউনের মেয়াদ বাড়ার কথা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন। এরপর শনিবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা পাওয়া গেল।

পঞ্চম দফার লকডাউন মেয়াদ বাড়ল ৩০ শে জুন অবধি। আর চতুর্থ দফার লকডাউন থেকে যে নাইট কার্ফু জারি হয়েছিল, যে নাইট কার্ফুর সময় ছিল সন্ধ্যে ৭ টা থেকে পরদিন সকাল ৭ টা অবধি। পঞ্চম দফার লকডাউনে সেই নাইট কার্ফুর সময় কমিয়ে দেওয়া হলো। এই সময়ের মধ্যে জরুরি কোনও কাজ ছাড়া রাস্তায় বেরোনো যাবে না।

কন্টেইনমেন্ট জোনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাদবাকি সব কিছু বন্ধ থাকবে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নতুন গাইডলাইনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। কন্টেইনমেন্ট জোন কতটা এলাকা জুড়ে থাকবে তা রাজ্য ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ঠিক করে নেবে।

night-curfew-outside-containment-zones-to-remain-but-for-lesser-duration

নাইট কার্ফুর সময় যা যা করা যাবেনা

পঞ্চম দফার নাইট কার্ফুর সময় কমিয়ে দেওয়া হল ৪ ঘন্টা। হ্যাঁ এই দফায় নাইট কার্ফুর সময় রাত ৯ টা থেকে পরদিন ভোর ৫ টা অবধি।

চতুর্থ দফার লকডাউন থেকেই বলা হয়েছিল জরুরিকালীন দরকার ছাড়া নাইট কার্ফুর সময়ে কেউ বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না। পঞ্চম দফাতেও এই নির্দেশ জারি আছে।

অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যে সকল মানুষরা যুক্ত আছেন তাদের জন্যই ছাড় দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ কেবল তারাই রাস্তায় বের হতে পারবেন।

এই নাইট কার্ফু চালু করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ইচ্ছা করলে ১৪৪ ধারা জারি করতে পারে।

সব জায়গাতেই নাইট কার্ফু সমানভাবে বলবৎ করতে হবে। গ্রীন জোন, বাফার জোন ও রেড জোন ও কনটেনমেন্ট জোন সবকটি জোনেই নাইট কার্ফু সমানভাবে জারি থাকবে।

প্রসঙ্গত, সারা দেশে চতুর্থ দফার লকডাউনে নাইট কার্ফু চললেও বাংলায় তা হয়নি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, কার্ফু শব্দটা সাম্প্রদায়িক হানাহানির সময়েই একমাত্র ব্যবহার করা হয়। কার্ফু বলে তাঁর সরকার মানুষের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করবে না। তবে এই সময়ে কড়াকড়ি যে থাকবে তা স্পষ্ট করেছিলেন মমতা। বলেছিলেন, বাড়িতে থাকুন, আনন্দে থাকুন।