প্রকাশ্যে এল নরেন্দ্র মোদীর সম্পত্তির পরিমাণ! কত কোটি টাকার মালিক মোদীজি?

এমনিতেই আমরা প্রত্যেকেই অন্যের ধন সম্পত্তি নিয়ে খোঁজ খবর রাখতে ভালোবাসি। যতই হোক সম্পত্তির হিসাব পেলে বোঝা যায় সেই মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা। অনেকেই তাদের সম্পত্তির হিসাব প্রকাশ্যে জন সম্মুখে আনতে চায় না। তাতে বন্ধুর চেয়ে শত্রুর সংখ্যা বেড়ে যায়। আর শিল্পপতি বা ক্রিকেটার, বলিউড অভিনেতা, ফুটবলার এদের সম্পত্তির হিসাব আমরা খবরের শিরোনামে অনেক বারই পেয়ে থাকি। তারা বছরে যখন আয়কর দেয় সরকারকে তখন ফলাও করে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে এই সমস্ত খবর। এইসব খবরে সাধারণ মানুষ থেকে তাদের ফ্যানরা বুঝতে পারে তাদের পছন্দের খেলোয়াড়ের বাজারে মূল্য এবং খ্যাতি।যেমন বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলির ব্র্যান্ড ভ্যালু সবচেয়ে বেশি। তাই তার বাৎসরিক আয় ভারতের অন্যান্য যেকোনো ধরনের খেলোয়াড় থেকে বেশি।

কিন্তু মুস্কিলটা হয় রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের নিয়ে। আমরা তাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পপ্তির যা হিসাব তারা নির্বাচন কমিশনে দেয়, তা যে একপ্রকার সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া হয়, তাতে অনেকেই একমত। কিন্তু তবুও যেসব খবর আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানতে পারি তাতেই আমাদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। যেমন জয়া বচ্চন ভারতের মহিলা রাজনৈতিক সাংসদদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধনী। কিন্তু আমাদের  সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ থাকে যে ব্যক্তিদের নিয়ে তারা হলেন সাংবিধানিক প্রধান। যেমন রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী।

Source

সম্প্রতি  কেন্দ্রীয় সরকার তাদের বিভিন্ন মন্ত্রী এবং অফিসারদের সম্পত্তির মুক্ত ঘোষণার যে নীতি নিয়েছিল, তারই অংশ হিসাবে ২০১৮ সালের মার্চ ৩১ পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্পত্তির  হিসাব প্রকাশ করেছে। আর এই তথ্য থেকে অনেক কিছুই জানা যাচ্ছে। যেমন প্রধানমন্ত্রীর কাছে নগদ টাকা হিসাবে মার্চ মাসের হিসাব অনুযায়ী ৪৮,৯৪৪ টাকা। তার ব্যাংকের থাকা অর্থের পরিমাণ ১ কোটি টাকা। এবং তার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির পরিমান প্রায় বর্তমান বাজার মূল্য ১ কোটি টাকা। অর্থাৎ বর্তমানে তার থাকা সম্পত্তি এবং টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি টাকার কিছু বেশি।

Source

তার কাছে সোনার জিনিস হিসাবে আছে ৪ টি রিং যার বাজার মূল্য ১,৩৮,০৬০ টাকা। এছাড়াও তার কিছু টাকা অর্থাৎ ২ লক্ষ টাকার মতো কোন এক ব্যবসায় নিয়োজিত আছে। সবচেয়ে মজার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নিজস্ব মালিকানায় কোন চার চাকা গাড়ি এবং দুই চাকা বাইক  নেই। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তার গান্ধীনগরে থাকা বাড়িজমির এক চতুর্থাংশ মালিকানা আছে। বিভিন্ন বছরে তিনি সেখানে ২,৪৭,২০৮ টাকার মতো বিনিয়োগ করেছেন। যার মূল্য  বর্তমানে প্রায় ১ কোটি টাকা যা তিনি তৎকালীন ২০০২ সালে ১.২০ লক্ষ টাকায় কিনেছিলেন।

আরও পড়ুন : ফাঁস হলো অমিতাভ বচ্চনের সম্পত্তির হিসাব

Source

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কোন ঋণ নেই কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকের কাছে। তার ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের গান্ধীনগর শাখায় ১১,২৯,৬২০ টাকা সঞ্চিত আছে। এবং অন্য একটি স্টেট ব্যাংকের  অন্য শাখায় ১,০৭,৯৬,২৮৮ টাকার মতো সঞ্চিত আছে। এছাড়াও কর ছাড় বন্ড হিসাবে L&T বিনিয়োগকারী সংস্থায় ২০,০০০ টাকা নিয়োজিত আছে। এবং জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্পে ৫,১৪,২১৫ টাকা এবং ভারতীয় জীবনবীমা প্রকল্পে ১,৫৯,২৮১ টাকা আছে।

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন উনি নিজের মাইনে থেকে ২২ লক্ষ টাকা জমা করেছিলেন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদ ত্যাগ করে দিল্লি আসার পথে উনি সেই টাকা গরিব মেয়েদের জন্য দান করেছিলেন। মোদীজির সমকালীন অনান্য বড়ো নেতানেত্রীদের সম্পত্তির হিসেব দেখলে দেখা যায় সকলেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর থেকে অনেক গুন বেশি সম্পত্তির মালিক। আপনারা জেনে অবাক হবেন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রীর(নওয়াজ শরীফ) সম্পত্তি নরেন্দ্র মোদীর থেকে ৬০০০ গুন বেশি।

আরও পড়ুন : ১০ টি সাহসী পদক্ষেপ যা কেবল মোদীর পক্ষেই নেওয়া সম্ভব

Source

প্রধানমন্ত্রী ভারতবর্ষের মতো বড় দেশের সম্পত্তির ইকোনমির দেখভাল করলেও প্রধানমন্ত্রী কাছে নিজের কোনো গাড়ি নেই।। উনি জনধন যোজনার নাম ২০ কোটির বেশি ব্যাংক এর খাতা খেলানোর ব্যবস্থা করলেও, দেশের রাজধানী দিল্লিতে উনার কোনো একাউন্ট নেই।
প্রধানমন্ত্রী বিদেশে যেসব নেতাদের সাথে উঠা বসা করেন তাদের অনেকেরই নিজের বিমান বা জেট রয়েছে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী অলংকার বলতে শুধু মাত্র ৪ টি আংটি রয়েছে।