ফের বাড়লো লকডাউন, কী খোলা থাকবে আর কী থাকবে না দেখুন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দেশে লকডাউন গড়াবে চতুর্থ দফা পর্যন্ত। লকডাউনের চতুর্থ দফা শুরু হবে আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৮ ই মে থেকে। ১৪ দিনের জন্য চতুর্থ দফার এই লকডাউন চলবে ৩১ শে মে পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তি জারি করে মন্ত্রক বিস্তারিত গাইডলাইনস দিয়ে জানিয়েছে, চতুর্থ লকডাউনে কী কী খোলা থাকবে আর কী থাকবে না দেখে নিন।

চতুর্থ দফার লকডাউনে কি কি ছাড় দেওয়া হল?

খুলে দেওয়া হচ্ছে খেলাধুলো ও শরীরচর্চার কেন্দ্র। তবে দর্শকের প্রবেশে কোনও ছাড় নেই। চলবে না মেট্রো রেলও, পূর্ববর্তী নির্দেশ অনুযায়ী বিশেষ ট্রেন ও শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন ছাড়া চলবে না অন্য কোনও ট্রেন।

রাজ্যের সীমানার  মধ্যে যাতায়াতে আর বাধা থাকছে না। দিনের বেলায় অবাধে নিজের রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে যেতে পারবেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যবাসী। আগের মতোই বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি অফিস।

সিনেমা হল, থিয়েটার, শপিং মল, সুইমিং, জিম সবই আগের মতো বন্ধ ৩১ মে পর্যন্ত। শুধুমাত্র চিকিৎসা সরঞ্জাম ও বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধই থাকছে।

আন্তঃরাজ্য এবং রাজ্যের মধ্যে যাত্রিবাহী বাস এবং অন্যান্য যান বাহন চলাচল করতে পারবে। তবে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য।

বন্ধ থাকবে সিনেমা, থিয়েটার, স্টেডিয়াম, প্রেক্ষাগৃহ, পানশালা, বিনোদন পার্ক এবং শপিং মল। রেড, গ্রিন, অরেঞ্জ জোনের পরবর্তী সংজ্ঞা ঠিক হবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া ধার্য করা বিভিন্ন মাপকাঠির ভিত্তিতে।

কর্মীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সকলের মোবাইলে ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ আছে কি না, তা অফিস কর্তৃপক্ষকে দেখে নিতে হবে। ১০ বছরের কমবয়সী আর ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বাড়ির বাইরে পা রাখায় জারি সরকারি নিষেধাজ্ঞা।

 

অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয় এমন সামগ্রী সকাল ৭টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত কেনাকাটা করা যাবে শর্তসাপেক্ষে। এবার আন্তঃরাজ্য যাতায়াত এবং গ্রিন, অরেঞ্জ, রেড জোনকে কীভাবে নিরাপদে রেখেও সচল করা যায়, তার পুরোটাই ঠিক করতে পারবে রাজ্যগুলি। ফলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিসর বাড়ল রাজ্য সরকারগুলির।

আরও পড়ুন :- কবে বিদায় নেবে করোনা জানিয়ে দিল করোনার ভবিষ্যৎবাণী করা কিশোর

এদিকে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হওয়ার দিনই দেশে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। রবিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৪৯৮৭ জন ব্যক্তির শরীরে। আর এই বিপুলসংখ্যক সংক্রমণের ফলে দেশে বর্তমানে মোট সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে গেছে ৯০৯২৭ এ। তবে এদিন পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও। ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯৫৬ জন।