জগৎপালক ভগবান বিষ্ণুর পত্নী লক্ষীদেবী হলেন সৌভাগ্যের দেবী। তিনি সকলকে সৌভাগ্য দান করেন। এই পৃথিবীকে তিনি শস্য-শ্যামলা করে তোলেন। দেবীর আরাধনা যে ব্যক্তি করেন, তার ঘর ধন-সম্পদ সুখ-শান্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দেবী ধন-সম্পদ সৌভাগ্য দান করার পাশাপাশি মানুষকে বিষ্ণুভক্তিও দান করেন।
লক্ষী দেবীর অপর নাম হল শ্রী। শ্রী অর্থাৎ সৌন্দর্য। সৌন্দর্য বাইরের হোক অথবা অন্তরের, তা সব সময় জগৎকে লাবণ্যময় করে তোলে। অপরদিকে হিংসা,দ্বেষ কুবুদ্ধি, নিষ্ঠুর বর্বরতা, জরা,রোগ, ব্যাধি,দুর্ভিক্ষ-মহামারী শ্রীহীনতার প্রতীক। জগৎ এ শ্রী প্রতিষ্ঠা করতে হলে, দারিদ্র্য দূর করতে হলে, আরোগ্য লাভ করতে হলে অবশ্যই শ্রী সৃষ্টিকারী দেবী লক্ষ্মীই একমাত্র আরাধ্যা।
কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন দেবীর কৃপা খুব সহজেই লাভ করা যায়। কারণ এই দিন দেবী অধিক জাগ্রত থাকেন। আর এই দিন খুব অল্পেই দেবী কে সন্তুষ্ট করা যায়। এইদিন দেবীর কৃপা লাভ করতে হলে নিম্নোক্ত কাজগুলি করুন।
লক্ষী দেবীর দ্বাদশ নাম করুন :- লক্ষ্মী দেবীর দ্বাদশ নাম ও স্তব ভক্তিযুক্ত মনে লক্ষ্মী পুজোর দিন পাঠ করুন। এতে দেবীর কৃপা পাওয়া যায়।
শ্রীযন্ত্রম পুজো করুন :- এই দিন যদি সুখ শান্তি সম্পত্তি ও সৌভাগ্য লাভ করতে চান তাহলে কোন ব্রাহ্মণের দ্বারা সকল বিধান মেনে শ্রীযন্ত্রমের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে তার পুজো করুন। এমনটা করলে ব্যক্তির ধনসম্পত্তি সৌভাগ্য লাভ হয়।
আরও পড়ুন : মা লক্ষ্মী কোন বাড়িতে থাকেনা? লক্ষ্মী নারী চিনবেন কীভাবে
শুদ্ধ বসন :- পুজোতে বসার সময় অবশ্যই শুদ্ধ বসন পরিধান করতে হবে। না হলে পুজোর সমস্ত আয়োজন বৃথা যাবে।
বৃহস্পতিবার বিশেষ দ্রব্য ধারণ :- বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী বার রূপে পরিচিত। প্রতিসপ্তাহের এই দিন যদি কেউ লক্ষ্মী দেবীর পুজো করেন তাহলে দেবী অধিক প্রীত হন।
আরও পড়ুন : লক্ষ্ণী পুজোকে কোজাগরী বলা হয় কেন, জেনে নিন আসল কারণ
বৃহস্পতিবারে যদি কেউ হলুদ পোখরাজ, হলুদ সুতো ইত্যাদি হাতে ধারণ করেন তাহলে দেবী তার ওপর অতিশয় সন্তুষ্ট হন ও দেবীর কৃপা সেই ব্যক্তির উপর বর্ষিত হয়।