মুকেশ আম্বানির টাকায় কদিন দেশ চলবে, আম্বানির মানিব্যাগে কত টাকা থাকে

ভারতের সবথেকে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি। শুধু ভারতেই নয়, সমগ্র বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম হলেন তিনি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ তম স্থানে রয়েছেন ভারতের এই বিত্তবান পুরুষ। মুকেশ আম্বানি গ্রুপের মোট সম্পত্তির অর্থমূল্য এই মুহূর্তে ৭৯.২ বিলিয়ান অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫.৭৮ লক্ষ কোটি টাকা।

এহেন মুকেশ আম্বানি বাড়ির বাইরে বেরোলে তার ওয়ালেটে ঠিক কত টাকা রাখেন? সাধারণের মনে এই প্রশ্ন জাগবেই! সাধারণত আমরা মানি ব্যাগে দু হাজার, চার হাজার বা সর্বাধিক দশ হাজার টাকা রাখি। কিন্তু ভারতের সবথেকে ধনী ব্যাক্তি তার মানি ব্যাগে কত টাকা রাখে সেটা জানার ইচ্ছা কার হবে না?

অবশ্য এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি নিজেই। মুকেশ আম্বানি তার নিজের সম্পর্কে এই গোপন কথাটি হিন্দুস্তান টাইমসের সম্মেলনে সকলের সামনে আনেন। তিনি বলেন, তার সম্পর্কিত এই তথ্যটি খুবই কম মানুষ জানেন। সকলে হয়তো মনে করেন ভারতের ধনীতম ব্যক্তি, যার সম্পদ কখনোই গুনে শেষ করা যাবে না, তিনি তার নিজের সঙ্গে সর্বদা কতইনা অর্থ বহন করবেন! কিন্তু সবাই যেমনটা ভাবে আসল ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও সেরকম নয়।

 

টাকা সম্পর্কে তার অন্যরকম মূল্যবোধ রয়েছে। রিলায়েন্স গ্রুপের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি মনে করেন টাকা হল পুঁজি, যা তাঁর কোম্পানিকে ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করে। এই পুঁজি সঙ্গে থাকলে কোম্পানি চালনা করা সহজ এবং নমনীয় হয়ে ওঠে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম হওয়ার দরুন সকলে তাকে যে দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন, তিনি তাতে মোটেও স্বচ্ছন্দ নন।

মুকেশ আম্বানির পকেটে কত টাকা থাকে?

পকেটে কোনো টাকা ছাড়া কোথাও যাওয়ার কথা ভাবতে পারেন! মনে হয় না। কিন্তু ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানি পারেন। তাহলে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন হয়তো। তাও না। কয়েক বিলিয়ন ডলারের এই মালিকের পকেটে আসলে ফুটো পয়সাও থাকে না। তাঁর কাছে নগদ টাকা তেমন কোনো ব্যাপারই না।

মুকেশ আম্বানির মানি ব্যাগে কত টাকা থাকে?

তাহলে সবখানে চলেন কী করে? এই প্রশ্নের উত্তর বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক মুকেশ আম্বানি নিজেই দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সেই ছোটবেলা থেকেই আমি পকেটে কোনো অর্থ রাখি না, এখনো রাখি না। আমার কোনো ক্রেডিট কার্ড নেই। আমার আশপাশে সব সময় সহযোগীরা থাকেন। তাঁরাই বিল পরিশোধ করেন। এভাবেই আমার কাজ চলে যায়।’

মুকেশ আম্বানি সবসময় কত টাকা নিয়ে ঘোরে?

একবার এইচডি লিডারশীপ সামিটে অংশগ্রহণ করে ভারতের এই ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি জানিয়েছিলেন, “আমি আমার সঙ্গে কখনোই টাকা রাখিনা। আমার কোনও ডেবিট কার্ড নেই। আমার পকেটেও কখনো টাকা থাকে না। আমার সঙ্গে সর্বদাই অন্য একজন থাকেন যারা আমার হয়ে টাকা বহন করেন। আমার যখন টাকার প্রয়োজন হয়, তখন তারাই সেই টাকা দিয়ে দেন।”

কেন মুকেশ আম্বানি নিজের কাছে টাকা রাখেন না?

আরও পড়ুন : মুকেশ আম্বানি তার ড্রাইভারকে কত টাকা বেতন দেয় জানলে চমকে যাবেন

প্রসঙ্গত, টাকা নিজের সঙ্গে না রাখার এই বৈশিষ্ট্যটি কিন্তু মুকেশ আম্বানি তার বাবার কাছ থেকে রপ্ত করেছেন। ধীরুভাই আম্বানিও কখনোই নিজের সঙ্গে টাকা রাখতেন না। তার একটি টিম ছিল যারা সর্বদাই তার সঙ্গে থাকতেন এবং তার হয়ে টাকা বহন করতেন। এমনটা করতে গিয়ে একবার বিপদের মুখেও পড়তে হয়েছিল ধীরুভাই আম্বানিকে।

আরও পড়ুন : মুকেশ আম্বানির এক মাসের ইলেকট্রিক বিল কত আসে জানেন?

টাকার জন্য কোনওদিন কী সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি?

একবার বিমানে যাওয়ার সময় ধীরুভাই আম্বানির বিমান বাতিল হয়ে যায়। তখন তাকে বাধ্য হয়েই অন্য একটি বিমানে করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তের সেই বিমানে মাত্র একটিই সিট ছিল। স্বভাবতই ধীরুভাই আম্বানির অন্যান্য সদস্যরা বিমানে জায়গা পাননি। এদিকে ধীরুভাই আম্বানির কাছে তখন টাকাও ছিল না। তাই গন্তব্যস্থলে সফর করার জন্য ভারতের এই ধনী ব্যক্তিটিকেও কিন্তু তার সহযাত্রীর থেকে টাকা ধার করতে হয়েছিল।

আরও পড়ুন : বিশ্বের ১০টি মহামূল্যবান সম্পদ যা কেবলমাত্র মুকেশ আম্বানির কাছেই আছে

মুকেশ আম্বানির টাকায় কত দিন দেশ চালতে পারে?

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ধনীরা তাঁদের সম্পদ দিয়ে কত দিন দেশ চালাতে পারবেন ? এমন কৌতূহল এসেই যায়। আর এ বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস ইনডেক্স এবং আন্তর্জাতিক তথ্য ভান্ডার। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ভারতের ধনকুবের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি তাঁর সম্পদ দিয়ে ২০ দিনের মতো দেশ চালাতে সক্ষম।

আরও পড়ুন : মুকেশ আম্বানির ড্রাইভারের বেতন দেখে লজ্জায় মাথা নামবে IAS থেকে IPS অফিসাররাও