ওষুধ খেতে আমরা কেউই পছন্দ করি না। কিন্তু বিপাকে পড়লে খেতে হয়। মিষ্টি কিছু কফ সিরাপ ছাড়া বাকি ট্যাবলেট অথবা ক্যাপসুলের স্বাদ জঘন্য। শুধু সুস্থ হওয়ার জন্যই সবাইকে গিলতে হয়। এটা না হয় বোঝা গেল, কিন্তু ক্যাপসুলে দুটো আলাদা রঙ থাকে কেন? বেশীরভাগ ক্যাপসুলই দু-রঙে রাঙানো! একরঙা হলে কি কাজ কম হত? রোগ সারতে দেরী হত?

ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ক্যাপসুলের দুটো অংশ সমান নয়। একটা বেশী বড়। বড় অংশটিকে বলা হয় ‘ক্যাপ’। ছোট অংশটি ‘কনটেনার’। ক্যাপ-এ পরিমাণেও বেশি থাকে। প্রথমে ঢোকানো হয় কনটেনার অংশ। ওপরে, তারপর ক্যাপ। মেশিনেও ক্যাপসুল ভর্তি করা হয় একইভাবে। আকার এবং ব্যাসের ভিত্তিতে ক্যাপ ও কন্টেইনারের মাপ এক হলে পার্থক্য করা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। তৈরিতে সময়ও লাগবে অনেক বেশী।
আরো পড়ুন : ভারতের রহস্যময় ও অলৌকিক ৯ মন্দির

ক্যাপসুলের দুটি আলাদা উজ্জ্বল রঙ হওয়ার কয়েকটি অদ্ভুত কারণ আছে। মানুষ রঙচঙে জিনিস বেশী পছন্দ করে। আস্থাও থাকে। রোগ সারানোর ক্ষেত্রেও এই দাওয়াই প্রয়োগ হয়েছে ক্যাপসুলে। ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানিগুলি প্রতিদিন হাজার হাজার রোগের ক্যাপসুল তৈরি করছে। তাই কোম্পানিগুলি প্রথাগত রঙগুলিও বাদ দিয়েছেন। অর্থাৎ বেনীআসহকলা – বাদ।

আরো পড়ুন : জানেন কি পেটিএম ক্যাশব্যাক দেয় কি করে? জানলে চমকে যাবেন
কারণ লালের থেকে হলুদ সহজে আলাদা করা যায়। এবং ‘কালার ওয়ান ক্যাপসুল’ হলে রঙও কম পড়বে। কিন্তু ডিপ ম্যাজেন্টা এবং ভিভিড অরেঞ্জের পার্থক্য জিজ্ঞেস করলে মাথা চুলকোতে হবে। অথচ পাওয়া খুব সহজ। দুটো রঙ মেশালেই জন্ম নেবে অন্য রঙ। আবার তার সঙ্গে আলাদা আর একটি রঙ মেশালে তার রঙ পালটে যাবে। এভাবে অনন্ত রঙ পাওয়া যেতে পারে। মানুষও ভিন্ন রঙ পছন্দ করে। ওষুধ কোম্পানিগুলিও একটা ক্যাপসুলের আলাদা দুটি রঙ ব্যাবহার করল।