Brain Riddle : সংকেত দেখে কারও নাম উদ্ধার করা যেমন একটি মজার খেলা, তেমনই এটি মস্তিষ্কের জন্যও একটি উপকারী ব্যায়াম। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সাধারণত এমন ধরনের ছবির ধাঁধা (Photo Puzzle) -র সমাধান করতে পছন্দ করেন। এমনকি বিশেষজ্ঞরাও মানছেন এই কথা যে প্রতিদিন নিয়ম করে ধাঁধার সমাধান করলে মস্তিষ্কের সক্রিয়তা (Brain Capacity) বাড়ে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন নানা ধরনের ধাঁধা ভাইরাল হতে দেখা যায়। তবে নেটিজেনরা সব থেকে বেশি পছন্দ করছেন এখন ছবির ধাঁধা। মজাদার ও আকর্ষণীয় এই ধাঁধা সমাধান করে নিজেদের বুদ্ধির পরখ করে নিতে চাইছেন তারা। যদিও সবাই যে এই কাজে সফল হচ্ছেন এমন নয়। খুব কম মানুষই এমনভাবে ছবিতে সংকেত দেখে ধাঁধা সমাধান করতে পারেন।
যেমন এখানে এই ছবিতে একটি মেয়েকে দেখা যাচ্ছে। যার ঠিক পাশে রয়েছে দুটি সংকেত। এখন এই দুটি সংকেত দেখে মেয়েটির নাম আন্দাজ করতে হবে। যারা প্রশ্নের উত্তর দিতে চেয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ব্যর্থ হয়েছে। অনেকে ভুল উত্তর দিয়েছেন এমনকি অনেকে উত্তর দিতেও পারেননি। ব্যর্থ মানুষের সংখ্যা এখানে সফল মানুষের তুলনায় অনেক বেশি।
তবে যারা ছবিটি দেখে মেয়েটির সঠিক নাম আন্দাজ করে নিতে পেরেছেন তাদের আইকিউ বাকিদের থেকে অনেক বেশি। তাদের নিঃসন্দেহে বুদ্ধিমান কিংবা জিনিয়াস বলা যেতে পারে। কারণ তাদের মস্তিষ্ক বাকিদের তুলনায় বেশি চলে এবং তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও বেশি। আপনি কি পারলেন মেয়েটির আসল নাম আন্দাজ করতে?
জিনিয়াসদের কাছে এইভাবে ছবি দেখে নাম আন্দাজ করা একেবারেই জলভাত। তবে যারা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি উত্তরটা তাদের জন্য রইল বিশ্লেষণসহ উত্তর। এই ছবিতে একটি পাথর এবং একটি জুতো দেখানো হয়েছে। জুতোকে ইংরেজিতে বলা হয় সু (Shoe), এবং পাথরকে শিলা নামেও ডাকা হয়।
আরও পড়ুন : প্লেনের ইঞ্জিনে মুরগি কেন ব্যবহার করা হয়? ৯৯% মানুষ উত্তর জানেন না
এখন যদি এই দুটি অক্ষর পাশাপাশি জুড়ে দেওয়া হয় তাহলে পাওয়া যাচ্ছে না সু + শিলা = সুশীলা। অর্থাৎ ছবির এই মেয়েটির নাম সুশীলা। প্রতিটি মানুষেরই নিয়মিত এমন ধাঁধার সমাধান করা উচিত। এতে মস্তিষ্ক সংযোগকারী কোশ সক্রিয় হয়। সেই সঙ্গে মানুষের আইকিউ লেভেল ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন : শুধুই নকশা নয়, বিস্কুটের গায়ে এমন অসংখ্য ছিদ্র থাকার আসল কারণ জানেন?