লকডাউনে কথা বলুন যতখুশি, BSNL বিনামূল্যে দিচ্ছে ব্যালান্স ও ভ্যালিডিটি

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ২১ দিনের লকডাউন। এই লকডাউন চলবে আগামী ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত। ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে লকডাউন ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পাশাপাশি তিনি লকডাউনের জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন। কারণ লকডাউনের কারণে অজস্র মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হবে তা অনস্বীকার্য। তবে এই ভোগান্তি থেকে নিজেদের গ্রাহকদের মুক্তি দিলো BSNL।

সম্প্রতি BSNL ট্যুইট করে জানিয়েছে, লকডাউন চলাকালীন কোন প্রিপেইড গ্রাহকের ভ্যালিডিটি যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে তাকে আর চিন্তা করার দরকার নেই। BSNL নিজে থেকেই ওই প্রিপেইড গ্রাহকের ভ্যালিডিটি বাড়িয়ে দিবে ২০ই এপ্রিল পর্যন্ত। যার জন্য গ্রাহককে কোনরকম মূল্য দিতে হবে না। পাশাপাশি যে সমস্ত গ্রাহকদের প্রিপেইড ব্যালেন্স ‘০’ তে নেমে যাবে তাদের ১০ টাকা করে ব্যালেন্স দেওয়া হচ্ছে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগের জন্য। লকডাউন চলাকালীন দোকানপাট, অফিস কাছারি বন্ধ থাকায় BSNL এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। আর এই পদক্ষেপে কোটি কোটি গ্রাহক উপকৃত হবেন একথা অনস্বীকার্য।

বিএসএনএলের এই সিদ্ধান্তের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, “BSNL আজ এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা তাদের প্রিপেইড গ্রাহকদের সিমের ভ্যালিডিটি ২০ই এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে বিনামূল্যে। আর আউটগোয়িং কল করার জন্য ১০ টাকা করে ব্যালেন্স দিচ্ছে। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে গরিব শ্রমিকরা বা মানুষরা কথোপকথনের জন্য কোন রকম ভোগান্তির শিকার না হন।”

আরও পড়ুন :- অন্য নেটওয়ার্কের থেকে বেশি সুবিধা দিচ্ছে BSNL, দেখে নিন প্ল্যান

প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দেশের প্রতিটি টেলিকম সংস্থার কাছে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছিলেন লকডাউন চলাকালীন যেন প্রিপেইড মোবাইল কলিং ফ্রি করে দেওয়া হয়। যাতে করে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকরা বিনা রিচার্জেই তাদের পরিবারের সাথে কথোপকথন বজায় রাখতে পারেন।

আরও পড়ুন :- লকডাউনে Jio গ্রাহকরা বিনামূল্যে করুন কল সঙ্গে বাড়তি ভ্যালিডিটি

যদিও এই দাবি নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন টেলিকম সংস্থার তরফ থেকে কোনোরকম সদুত্তর মেলেনি। তবে এই পরিস্থিতিতে BSNL তাদের প্রিপেইড গ্রাহকদের ভ্যালিডিটি বাড়িয়ে দেওয়া ও সাথে ১০ টাকা করে ব্যালেন্স দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন টেলি বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, “আমাদের ভারতবর্ষে এখনো পর্যন্ত বেশিরভাগ মানুষ রয়েছেন যারা প্রিপেইড মোবাইলে রিচার্জ করার জন্য দোকানে যান। আর এই লকডাউন চলাকালীন বেশির ভাগ দোকানই বন্ধ। সুতরাং বিএসএনএলের এই সিদ্ধান্তে ঐসকল গ্রাহকেরা খুবই উপকৃত হবেন।”