পোস্ত একটি জনপ্রিয় খাবার, এক সময় ঘটিদের মধ্যে প্রচলিত থাকলেও আজকের দিন সকলেই এই বিশেষ দামি খাবারটি খেয়ে থাকেন। কাঁচা পোস্ত বা তরকারিতে দেওয়া বা পোস্ত বড়া ভাজা কেউ বা আবার শুনো ভাতের সাথে কাঁচা পোস্ত বেটে মিশিয়ে খান। যাই হোক না কেন পোস্ত কিন্তু আমাদের শরীরে বেশ উপকারী জিনিস। কারণ, গবেষণায় দেখা গেছে পোস্তের অন্দরে উপস্থিত নানাবিধ ভিটামিন এবং মিনারেল নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। এছাড়াও পোস্তর অন্যান্য গুণাবলী রয়েছে-

১. ব্রেনের পাওয়ার বেড়ে যায়-
ব্রেনকে সচল রাখতে বিভিন্ন উপাদানের প্রয়োজন হয়। পোস্ততে থাকা ক্যালসিয়াম, আয়রন, কপার ব্রেনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং মস্তিষ্কজনিত রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

২. এনার্জি বাড়ায়-
সপ্তাহে দুই তিনদিন পোস্ত খাওয়া দরকার। কারণ, পোস্তয় থাকা কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এনার্জির ঘাটতি দূর করতে দারুন কাজে আসে।

৩. পুষ্টির ঘাটতি কমায়-
শরীরকে সচল রাখতে এবং পুষ্টির জোগান দিতে পোস্তর ভূমিকা জুড়ি মেলা ভার। কারণ পোস্তয় থাকা ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন সি, থিয়ামিন এবং ভিটামিন-এর ঘাটতি দূর করে শরীরে পুষ্টি জোগায়।
আরও পড়ুন : বেগুনের গুনাগুন ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
৪. হজম ক্ষমতা বাড়ায়-
হজমের সমস্যা অনেকেরই আছে। কিন্তু পোস্ত খেলে শরীরে ফাইবারের মাত্রী বেড়ে যায়। এবং হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

৫. পেটের রোগ কমে-
পেটের রোগের সমস্যা কমাতে পোস্তর সাথে ঘি মিশিয়ে পেস্টটা ধীরে ধীরে পেট লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলেই দেখবেন কষ্ট কমে যাবে। নিশ্চয় ভাবছেন, পোস্তের মধ্যে এমন কী আছে, যার জন্য এমন কাজে লেগে থাকে!
আরও পড়ুন : কিডনি ভালো রাখার ৭ টি সহজ উপায়

৬. ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে-
ত্বকের যত্ন নিতে পোস্তর উপকারিতা আছে। ত্বকের যত্ন নিতে কতই না ক্রিম মাখছেন। কিন্তু পোস্ত একবার ব্যবহার করে দেখুন। পরিমাণ মতো পোস্ত নিয়ে তার সঙ্গে জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই পেস্টটা ভাল করে মুখে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে দিন। তারপর আধঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন : বেশি করে মাছ খান, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমান

৭. গলার ব্যাথা কমে-
ঠান্ডা লেগে গলা ব্যাথা হলে এক চামচ নারকেলর দুধের সঙ্গে এক চামচ পোস্ত এবং মধু মিশিয়ে নিন। ভাল করে সবকটি উপাদান মিশে গেলে মিশ্রনটি খেয়ে ফেলুন। সেটি দিনে দুবার করে খান। আসলে পোস্তের মধ্যে নসেপাইন এবং কোডেইন নামক দুটি উপাদান রয়েছে, যা গলার ব্যাথা প্রতিরোধে সাহায্য করে।