৯০এর দশকে বলিউডের (Bollywood) বহুল চর্চিত প্রেম কাহিনীগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল বিনোদ খান্নার (Vinod Khanna) সঙ্গে অমৃতা সিংয়ের (Amrita Singh) প্রেম। তৎকালীন সময়ে বলিউডের হ্যান্ডসাম হিরোদের মধ্যে বিনোদ খান্না ছিলেন অন্যতম। মহিলা ফ্যান-ফলোয়ার্স থেকে শুরু করে অভিনেত্রীরাও সেই সময় বিনোদের জন্য পাগল ছিলেন। বলিউডের বহু অভিনেত্রীর মতো অমৃতা সিংয়ের সঙ্গেও বিনোদ খান্নার প্রেম নিয়ে চর্চা শুরু হয়।
যদিও প্রথম প্রথম অবশ্য বিনোদ খান্না অমৃতা সিংকে সেভাবে পাত্তা দিতে চাইতেন না। তবে অমৃতা ছিলেন নাছোড়বান্দা। প্রথমে বন্ধুত্ব দিয়ে সম্পর্ক শুরু করে ধীরে ধীরে বিনোদ খান্নার মন জয় করে নেন অভিনেত্রী। তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে খুব তাড়াতাড়িই। তারা একসঙ্গে জুটি বেঁধে একাধিক ছবিতে অভিনয় করতে শুরু করেন। ‘ধর্মসংকট’, ‘বাটওয়ারা’ ছবিতে বিনোদ খান্না এবং অমৃতা সিং একসঙ্গে কাজ করেন।
ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্কের কথা বলিউডে প্রচার হতে থাকে। এই গুঞ্জন ক্রমশ অমৃতার মায়ের কানে গিয়েও পৌঁছায়। অমৃতার মা রুখসানা বেগম মেয়ের সঙ্গে বিনোদ খান্না সম্পর্কের কথা জানতে পেরেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। আসলে দুজনের মধ্যে বয়সের পার্থক্যটা ছিল অনেক বেশি। অমৃতার থেকে বিনোদ খান্না ১১ বছরের বড় ছিলেন। তাছাড়া সেইসময় বিনোদ খান্নার সঙ্গে বহু মহিলার সম্পর্ক ছিল। এমন একজনকে জামাই হিসেবে মেনে নিতে চাননি অমৃতার মা। তাই মায়ের অসম্মতিতেই কার্যত বিনোদ খান্না এবং অমৃতা সিংয়ের সম্পর্ক ভেঙে যায়। মায়ের অনুমতি বিনা বিনোদের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবেননি অমৃতা।
অবশ্য একা বিনোদ খান্না নন, অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে তাঁর সমকালীন সময়ের আরও দুই তারকা সানি দেওল (Sunny Deol) এবং রবি শাস্ত্রীর (Ravi Shastri) সম্পর্ক নিয়েও ছিল গুঞ্জন। শোনা গিয়েছিল রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তারা বিয়ে করতে চান, এমনটাও শোনা গিয়েছিল। তবে শেষমেষ সেই সম্পর্কও ভেঙে যায়।
অবশেষে সেইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) গলাতেই মালা পরান অমৃতা। যদিও সেইফ ছিলেন তার থেকে ১২ বছরের ছোট। তবে বয়সটা তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। যদিও শেষমেষ সেই সম্পর্কটাও টেঁকেনি। দুই সন্তানের জন্মের পরই আলাদা হয়ে যান সেইফ এবং অমৃতা। এরপর অবশ্য আর কোনও সম্পর্কে জড়াননি অভিনেত্রী।