
টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) মৃত্যুর পর দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে দুটি সপ্তাহ। তবে দুই সপ্তাহের মাথায় প্রশ্ন উঠছে সত্যিই কি নিয়তি টানে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা? নাকি তাকে ইচ্ছে করেই মেরে ফেলা হল? এই প্রশ্নটিই ছুঁড়ে দিয়েছেন ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা (Sikha Sharma)। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন তিনি। মেয়ের মৃত্যুর ব্যাপারে সরাসরি প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসকদের দিকে।
গত ১লা নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর ঐন্দ্রিলাকে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ২০ টা দিন জীবন-মৃত্যুর লড়াই লড়ে মৃত্যুর কোলেই ঢলে পড়লেন ঐন্দ্রিলা। পরপর ২ বার ক্যান্সারকে তিনি জীবনের পথে ফিরতে পেরেছিলেন। কিন্তু তৃতীয়বার আর শেষ রক্ষা হল না। এর কারণ হিসেবে ঐন্দ্রিলার মা সরাসরি অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর মা মেয়ের মৃত্যুর জন্য একজন চিকিৎসকের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। তার দাবি ওই চিকিৎসক নিজে দায়িত্ব নিয়ে তার মেয়েকে কোমায় পাঠিয়ে দেন। ঐন্দ্রিলা এবারও সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। স্রেফ নিজের ইগোর কারণে ওই চিকিৎসক আর কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই তার মেয়ের এত বড় সর্বনাশটা করলেন! অভিনেত্রীর মায়ের মন্তব্যে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া।
ঐন্দ্রিলার মা টলিফ্যাক্টজ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের কাছে মুখ খুলতে গিয়ে বলেন, “ডাক্তার গুরুদায়িত্ব নিয়ে নিয়েছিল যে যেভাবেই হোক ঐন্দ্রিলাকে আমাদের মারতে হবে। উনি অনেক ঐন্দ্রিলাকে মেরেছেন, আমার ঐন্দ্রিলাকে মারলো এবং আরো মারবে, দায়িত্ব নিয়ে মারবে।” অন্য আরেকজন পরিচিতি চিকিৎসক ঐন্দ্রিলার মাকে অন্য চিকিৎসক দেখানোর ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে ওই চিকিৎসকের ইগোর কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
ঐন্দ্রিলা বেঁচে থাকতেই হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। শিখা শর্মা মন্তব্য করেছেন, “সব্য দাঁড়িয়ে আছে একটু দূরে, সব্য শুনতে পাচ্ছে, ‘এই তো আর কয়েকটা দিনের ব্যাপার, এই ঘরটাকে একটু পরিষ্কার করে দিতে হবে’, সব্য তো নীচে এসে থরথর করে কাঁপছে!” অভিনেত্রীর মায়ের আক্ষেপ, “ঐন্দ্রিলা গেল, হয়তো ওর ওইটুকুই আয়ু, যেতে হতই। কিন্তু এত অবহেলাতে তো যেত না। অন্তত ডাক্তারদের মানবিক আচরণ তো পেতাম!”
চিকিৎসকের কথা শুনে সব্যসাচী ভেঙ্গে পড়েছিলেন। তবে ঐন্দ্রিলার মা মনে মনে আশা রেখেছিলেন। কারণ তখনও পর্যন্ত ঐন্দ্রিলার লাংস, কিডনি এবং হার্ট ভাল ছিল। তার ফিরে আসার সম্ভাবনাও ছিল। কিন্তু শেষমেষ আর শেষ রক্ষা হল না। শুধুমাত্র নিজের ইগোর কারণে অন্য চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ওই চিকিৎসকই তার মেয়েকে মেরে ফেলেছেন, এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছেন শিখা শর্মা।