হাসপাতালগুলিকে নয়া নির্দেশিকা, কেন্দ্রীয় দলের চিঠিত টনক নড়ল রাজ্যের

করোনা ভাইরাসের আবহে রাজ্যে প্রতিনিয়ত উঠছে নানান অভিযোগ। আর এই সকল অভিযোগের মধ্যে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ হলো চিকিৎসা না করেই হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এমন ঘটনায় বেশ কয়েকটি মৃত্যুও ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে বারংবার এমন কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন জানান, সরকারি হোক অথবা বেসরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের চিকিৎসা না করিয়ে ফেরানো যাবে না।

শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, রাজ্যে নতুন করে ৫১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৮। এই ১৮ জনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘন্টায়। রাজ্যের তরফ থেকে গঠন করা কমিটি এখনো পর্যন্ত ৫৭ টি কেস অডিট করেছে। যার মধ্যে ৩৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থাকলেও তাদের মৃত্যু হয়েছে অন্যান্য কারণে।

হাসপাতাল থেকে রোগী ঘোরানোর প্রসঙ্গ টেনে মুখ্য সচিব জানান, সরকারি অথবা বেসরকারি হাসপাতাল রোগীদের ক্ষেত্রে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে আবেদন করা হচ্ছে যেন বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো রোগীকে চিকিৎসা না করিয়ে ফেরানো না হয়। সরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রেও যেন অন্য কোনো রোগী চিকিৎসা না পেয়ে ফিরতে না হয়। আর এমনটা করা হলে রাজ্য সরকার কোনোভাবেই তা বরদাস্ত করবে না।

কি কি বলা হয়েছে নির্দেশিকায়

১) রেফার করা রোগীকে অবশ্যই অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে পাঠাতে হবে।

২) কোন ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তার দেহ অতি অবশ্যই ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে নিতে হবে। প্রটোকল অনুযায়ী এই কাজ যতটা সম্ভব দ্রুত করতে হবে।

৩) সরকারি হোক অথবা বেসরকারি হাসপাতাল সমস্ত চিকিৎসকদের পিপিই পোশাক পড়ে থাকা বাধ্যতামূলক।

৪) ডাক্তারদের ব্যবহার করা সমস্ত জায়গা প্রতিদিন সানিটাইজ করতে হবে।

৫) নমুনা সংগ্রহ করার ১২ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দিতে হবে।

৬) স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের নিয়মিত মেডিকেল কলেজগুলিতে ভিজিট করতে হবে।

আরও পড়ুন :- আজ থেকে দেশজুড়ে খুলছে দোকানপাট, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য যেসব বেসরকারি হাসপাতালগুলি চিহ্নিত হয়েছে, সেখানকার সমস্ত ব্যয়ভার এবার বহন করবে রাজ্য। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও করোনা সংক্রামিত সন্দেহজনক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হযলে তাদের কাছ থেকে কোনপ্রকার অর্থ নেওয়া যাবে না।

স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রকাশিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি কোভিড-১৯ চিহ্নিত বেসরকারি হাসপাতালের সব কর্তৃপক্ষকে তাদের হাসপাতালে টাঙিয়ে রাখতে হবে জনসাধারণের স্বার্থে।