দুষ্কৃতীদের নিশানায় ঐশ্বর্য, ঐশ্বর্যর বিপদে চিন্তায় ঘুম উড়েছে গোটা বচ্চন পরিবারের

দুষ্কৃতীদের নজরে ঐশ্বর্য, বচ্চন পরিবারের উপর ঘনিয়ে এল ঘোর অন্ধকার

Up Police Caught Three Fraud Men With Aishwarya Rai Bachchan`s Fake Passport

বলিউডের (Bollywood) অন্যতম জনপ্রিয় তারকা পরিবার হল বচ্চন পরিবার (Bachchan Family)। গোটা দেশের নজর রয়েছে অমিতাভ বচ্চনের পরিবারের উপর। তার থেকে জয়া ভাদুড়ি, অভিষেক বচ্চন থেকে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan), বচ্চন পরিবারে যেন তারকাদের মেলা বসেছে। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও রয়েছে তাদের অনেক প্রভাব প্রতিপত্তি। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই দুষ্কৃতীদেরও নজর থাকে এই পরিবারের সদস্যদের উপর।

এবার যেমন বচন পরিবারের পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকেই নিশানা বানিয়ে ফেলেছে দুষ্কৃতিরা। ঐশ্বর্যের নামে জাল পাসপোর্ট বানিয়ে ফেলেছে একদল দুষ্কৃতী। গ্রেটার নয়ডা এলাকা থেকে এমনই তিনজন দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ঐশ্বর্যর নামে জাল পাসপোর্ট মিলেছে। এই প্রতারণা চক্রটি ঐশ্বর্যর নামে জাল পাসপোর্ট বানিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় পুলিশের কাছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর প্রদেশ পুলিশ গ্রেটার নয়ডা এলাকা থেকে ওই তিন দুষ্কৃতিকে আটক করে তাদের থানায় নিয়ে যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে একটি ওষুধের কোম্পানির নামে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ছিল এই চক্রটি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ।

পুলিশ প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে জানতে পেরেছে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল ওই তিন ব্যক্তি। তারা একটি ওষুধের কোম্পানি চালায়। এছাড়াও এই চক্র ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট এবং ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বলে জানা গিয়েছে। এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিককেও তারা তাদের চক্রের সঙ্গে যুক্ত করেছে।

গ্রেফতার হওয়া ওই তিন ব্যক্তির থেকে একটি জাল পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই জাল পাসপোর্টে অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের ছবি ছিল। সেখানে তার জন্মস্থান হিসেবে লেখা ছিল গুজরাটের ভাবনগর। জন্ম তারিখ দেওয়া ছিল ১৮ই এপ্রিল ১৯৯০। তাদের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকার নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের থেকে ১১ কোটি টাকার জাল নোট এবং লক্ষ লক্ষ টাকার নকল বিদেশি মুদ্রাও পাওয়া গিয়েছে।

পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত ওই সেনা আধিকারিককে নিজেদের জালে ফাঁসিয়েছিল এই তিন ব্যক্তি। স্তন ক্যান্সার নিরাময়ের ওষুধ বানানোর নামে কোম্পানি খোলার ভুয়ো টোপ দেওয়া হয়েছিল তাকে। মিথ্যে কথা বলে তাকে দিয়ে যৌগ কোলানাট কেনানো হয়েছিল। ধৃতদের কাছ থেকে কোনও বৈধ পাসপোর্ট কিংবা ভিসা পাওয়া যায়নি।