যোগ্যতা থাকলেও বলিউডে ব্যর্থ, আরবাজ খানের জীবনে বিভীষিকার পেছনে দায়ী কে

বলিউড (Bollywood) অভিনেতা সালমান খানের (Salman Khan) নাম আজ গোটা বিশ্ব জানে। বলিউডের এই দাবাং সুপারস্টার রাজত্ব করছেন সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে। তার পরিবার এক অনেক বড় তারকা পরিবার। সেলিম খানের তিন পুত্র সালমান খান আরবাজ খান (Arbaaz Khan) এবং সোহেল খানের মধ্যে একমাত্র সালমানেরই এত প্রতিপত্তি রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। সালমানের ভাইরা দাদার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারেননি।

চলচ্চিত্রের তুলনায় ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি লাইম লাইট পেয়েছেন আরবাজ। বিয়ের ১৯ বছর পর মালাইকা এবং আরবাজের ডিভোর্স হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে মালাইকা আরোরার সঙ্গে তার ব্যর্থ দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে কাটাছেঁড়া চলে। একটি সাক্ষাৎকারে একবার আরবাজ বলেছিলেন তিনি ১৯ বছর ধরেই তার বিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তবে তিনি ব্যর্থ হলেন। একইসঙ্গে তার কেরিয়ারের জার্নিটাও তেমন সুখকর ছিল না।

দাদার হাত ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন আরবাজ। ১৯৯৬ সালের ‘দারার’ ছবির হাত ধরে তার অভিনয় জীবনের শুরুটা হয়। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন জুহি চাওলা এবং ঋষি কাপুর। প্রথম ছবিতেই নেগেটিভ চরিত্র বেছে নেওয়াটা কাল হয়ে দাঁড়াল আরবাজের জন্য। ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম সূত্রপাতেই তিনি নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করে ফেলেছিলেন।

গত ২৬ বছর ধরে তিনি অন্তত ৫০ টি ছবিতে কাজ করেছেন। কিন্তু তবুও ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি সেভাবে প্রতিষ্ঠা পেলেন না। ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া’, ‘হ্যালো ব্রাদার’, ‘দাবাং’ এবং ‘দাবাং ২’ এর মত ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন পার্শ্ব চরিত্রে। তার নামের পাশে পার্শ্ব চরিত্রের অভিনেতার ট্যাগ পড়ে যায়‌। আসলে ছবি করতে গিয়ে তার কিছু ভুল সিদ্ধান্তই তাকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।

‘মা তুঝে সালাম’, ‘ইয়ে মোহাব্বত হ্যায়’, ‘সোচ’, ‘কেয়ামত সিটি আন্ডার থ্রেট’, ‘কুছ না কহো’, ‘আলিবাবা ৪০ চোর’, ‘ফুল এন্ড ফাইনাল’, ‘ঢোল’, ‘দশ কাহানিয়া’, ‘গডফাদার’, ‘হ্যালো’, ‘জয় ভিরু কিসান’, ‘জিনা ইসিকা নাম হে’, ‘লাভ রাত্রি’ এর মত সিনেমা রয়েছে তার ঝুলিতে। অথচ দেখা যাবে আরবাজের মাত্র হাতে গোনা কিছু ছবিই হয়েছিল হিট।

এছাড়া মনে করা হয় আরবাজ সালমানের মত ফিটনেস ফ্রিক নন। ৬০ বছরের কাছাকাছি বয়সেও সালমানের শার্টলেস ছবি দেখলে ঘুম উড়ে যায় মহিলাদের। তবে আরবাজ কখনও ফিটনেসের দিকে ধ্যান দেননি। এই কারণগুলির জন্যই আরবাজ খানের হাতে এখন বলিউডের কোনও ছবির অফার নেই। শেষবার তাকে ‘দাবাং ৩’ ছবিতে দাদা সালমানের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তবে সেই ছবি ছিল বক্স অফিসের সুপার ফ্লপ।