বর্ণবাদের উপর ভিত্তি করে স্টার জলসার (Star Jalsha) নতুন ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) গল্প আনা হয়েছে। রূপ নয়, গুণ দিয়েই মানুষের আসল বিচার হোক। এটাই ধারাবাহিকের মূলমন্ত্র। ধারাবাহিকের নায়ক সূর্য নায়িকা দীপার গুণে মুগ্ধ। তবে সূর্যর মা লাবণ্য দীপার গায়ের কালো রংয়ের কারণে তার উপর ঠিক ততটাই বিরক্ত। কালো চেহারা তিনি সহ্য করতে পারেন না! তাই দীপাকে তিনি নিজের আশেপাশে দেখতেও পছন্দ করেন না।
তবে তার পরিবারেও রয়েছে কালো চেহারার এক সদস্য। তার নিজের মেয়ে পালকের একমাত্র মেয়ের ত্বকের রঙ কালো। তাই নিজের স্বভাবের কারণে লাবণ্য নিজের নাতনীকেও সহ্য করতে পারেন না। মেয়ের প্রতি মায়ের এই ব্যবহারে পালকও বেশ বিরক্ত। তার মেয়ে এবং দীপার প্রতি মায়ের ব্যবহারের দিন দিন সে আরও বেশি বিরক্ত হয়ে উঠছে। তাই এবার মায়ের আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাল সে।
ধারাবাহিকের সাম্প্রতিকতম পর্বে মায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেখা গেল পালককে। লাবণ্য প্রতিনিয়ত দীপার প্রতি যেমন অমানবিক আচরণ করেন এটা তার পছন্দ নয়। তিনি সর্বক্ষণ নিজের ফর্সা রংয়ের বড়াই করেন। তার কাছে রূপটাই সব। গুণের কোনও কদর নেই। গুণ না থাকলেও স্রেফ রূপ আছে বলেই লাবণ্য দীপার বোনের সঙ্গে নিজের ছোট ছেলের বিয়ে দিতে চান। তবে পালক মনে মনে চায় লাবণ্যের বড় ছেলে সূর্যের জীবন সঙ্গিনী হয়ে আসুক দীপার মতই কালো ত্বকের কোনও মেয়ে। তাহলেই উচিত শিক্ষা পাবেন লাবণ্য।
শুধু তাই নয়, মাকে পালক সাফ বুঝিয়ে দেয় সমস্যাটা আসলে কারও ত্বকের রঙ নিয়ে নয়, আসলে লাবণ্যর মনের ভিতরই জমাট বেঁধে আছে অন্ধকার। যে কারণে তিনি কারও গুণ দেখতে পান না। রূপের অহংকারে মানুষকে মানুষ জ্ঞান করেন না। ঠিক এই কারণেই মাকে মা বলেও ডাকে না পালক, ‘মিসেস সেনগুপ্ত’ বলে ডাকে। রেগে গিয়ে সে মায়ের গালে মাটি লেপ্টে দেয়।
View this post on Instagram
ধারাবাহিকের এই জমজমাট পর্ব দেখে দর্শকরাও দারুণ খুশি। তাদের দাবি লাবণ্যকে উচিৎ শিক্ষা দিয়েছে তার মেয়ে। কেউ লিখলেন, ‘ঠিক হয়েছে। যারা মানুষের রুপ নিয়ে নোংরা কথা বলে তাদের জন্য এটাই ঠিক কাজ।’ কারও মতে, ‘পালক ঠিক করছে, এইভাবে সূর্যের মায়ের অহংকার টা ভেঙে যাবে,আমার তো মনে হয় যেদিন দিপা আর সূর্যের বিয়েটা হবে সেদিন হার্ট এ্যাটাক করবে’।