কী কী সুবিধা নিয়েছিলেন ডিরেক্টর হিসেবে? ফাঁস হল প্রতারণা মামলায় নুসরাতের বড় কীর্তি

শুধু টাকার ভাগ নয়, ডিরেক্টর হয়ে আর কী কী সুবিধা পেয়েছিলেন নুসরাত জাহান!

Nusrat Jahan Money Scam : রাজ্য রাজনীতি এবং টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রি এখন ফের একবার নুসরাত জাহান (Nusrat Jahan) -কে নিয়ে উত্তাল। প্রায় ৪০০ এর বেশি মানুষের থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠছে তার দিকে। এমনকি এও অভিযোগ উঠছে যে সাধারণ বয়স্ক মানুষদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে নুসরত নিজেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন। এমন একাধিক অভিযোগ উঠছে নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে।

টলিউড ইন্ডাস্ট্রির তাবড় তাবড় অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের পাশাপাশি এবার প্রথম সারির নায়িকা নুসরাত জাহানের নামটাও আর্থিক প্রতারণা মামলায় জড়িয়ে গেল। যদিও এই ঘটনা প্রায় ১০ বছরের পুরনো। ২০১৩ সালে মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থার সঙ্গে কোঅপারেটিভ ভাবে ফ্ল্যাট কেনার চুক্তি হয়েছিল ৪২৯ জন মানুষের।

NUSRAT JAHAN

এই ৪২৯ জনকে রাজারহাট হিডকোর কাছে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে তোলা হয়েছিল। এইভাবে প্রায় ২৪ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল বলে জানাচ্ছেন অভিযোগকারীরা। এই টাকা নাকি সংস্থার ডিরেক্টরদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছিল। ওই সময় সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন নুসরাত জাহান। তিনিও যে একজন অভিযুক্ত, বারবার এমনটাই দাবি করছেন অভিযোগকারীরা।

নুসরাতের সঙ্গে এই সংস্থার যোগাযোগ ঠিক কতটা ছিল? ডিরেক্টর হিসেবে তিনি কী কী সুবিধা নিয়েছিলেন এখান থেকে? সমস্তটা ফাঁস করে দিলেন অভিনেত্রী তথা এই সংস্থার বর্তমান ডিরেক্টর রূপলেখা মিত্র। বর্তমানে তিনি ওই সংস্থার ডিরেক্টরদের মধ্যে অন্যতম একজন। তৃণমূলের সাংসদ অভিনেত্রী সম্পর্কে রূপলেখা বলেছেন নুসরাত এখন এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত না হলেও একসময় তিনিও ছিলেন ডিরেক্টরদের মধ্যে অন্যতম।

NUSRAT JAHAN

যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে সেই সময় এই সংস্থার অন্যতম আরেক ডিরেক্টর রাকেশ সিংয়ের সঙ্গে নুসরাতের নাকি দারুণ ভালো সম্পর্ক ছিল। রাকেশ নুসরাতকে প্রচুর সাহায্য করেছিলেন সেই সময়। নুসরাতের বোন নুজহাত জাহানের পড়াশোনার খরচ অনেকটাই চালিয়েছিলেন রাকেশ। তবে ২০১৭ সালের পর নুসরাত এই সংস্থা ছেড়ে দেন।

NUSRAT JAHAN

আরো পড়ুন : টলিউডে কোন নায়িকা কত পারিশ্রমিক পান? চমকে দেবে কোয়েল মল্লিকের পারিশ্রমিক

আর্থিক প্রতারণা মামলায় নাম জড়াতেই একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেন নুসরাত। তিনি কোনও সাফাই দিতে চাননি। সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি জানিয়েছেন সংস্থার থেকে তিনি যে টাকাটা পেয়েছিলেন সেটা তিনি ঋণ হিসেবে নিয়েছিলেন। সেই টাকা তিনি সুদ সমেত ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। নিজেকে ‘৩০০ শতাংশ সৎ’ বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের এই তারকা সাংসদ।

আরো পড়ুন : বিনা মেকআপে যায় না চেনা, মেকআপ ছাড়া কেমন দেখতে লাগে টলিউড নায়িকাদের