ফাঁস হয়ে গেল সোমের পিতৃপরিচয়! DNA রিপোর্ট দেখে মাথায় হাত মোদক পরিবারের

বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Telivision) টিআরপি তালিকাতে এক‌ টানা অপ্রতিরোধ্য মিঠাই (Mithai)। মিঠাই ছাড়া বাঙালির এখন আর প্রায় কিছুই ভাল লাগছে না। যদিও মিঠাইয়ের আসন নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিয়েছে স্টার জলসার ২ নতুন ধারাবাহিক। গত সপ্তাহের টিআরপি তালিকাতে মিঠাইকে ছাপিয়ে যেতে না পারলেও তাকে ধরে ফেলেছে অন্য চ্যানেলের দুই ধারাবাহিক। তবে এই সপ্তাহের টিআরপিতেও মিঠাইকে তার আসন থেকে নামানো একপ্রকার অসম্ভব। তার কারণ এক অসাধ্য সাধন করে ফেলেছে মিঠাইরানী। উচ্ছেবাবুর সঙ্গে তার বাবার মিল করিয়ে দিয়েছে।

খুব ছোটবেলা থেকেই বাবার প্রতি অভিমান জমে রয়েছে সিদ্ধার্থের মনে। মায়ের প্রতি বাবার অবহেলা, খারাপ আচরণ তার ছোট্ট মনের উপর প্রভাব ফেলেছিল। সে বড় হওয়া পর্যন্ত বাবাকে কখনও বাবা বলে ডাকেনি। বাবার বদলে ‘বড়বাবু’ বলেই এতদিন সমরেশ মোদককে সম্মোধন করেছে সিদ্ধার্থ। এদিকে বাড়িতে আশ্রিত সোমের পিতৃপরিচয় নিয়ে যখন তরজা শুরু হয় তখন ষড়যন্ত্রের শিকার হন সমরেশ। সমরেশের বন্ধু ত্রিদিবেশ এবং সোমের মা সমরেশকেই সোমের বাবা বলে দাবি করতে থাকেন। ভুয়ো ডিএনএ রিপোর্টেও সমরেশকেই সোমের বাবা বলে উল্লেখ করেন ত্রিদিবেশ।

তবে মিঠাই রানী সব ষড়যন্ত্রের কিনারা করে ফেলেছে। বাড়ির হল্লা পার্টির সহযোগিতায় ত্রিদিবেশের বড় পর্দা ফাঁস করা সম্ভব হয়েছে। শ্রীতমা, রাতুল, রাজিব, নন্দা তো বটেই, শেষমেষ উচ্ছে বাবু সিদ্ধার্থও কিছুটা বাধ্য হয়েই মিঠাইকে এই রহস্যের তদন্ত করতে সহায়তা করে। প্রথমে নিজের বাবাকে ভুল বুঝে তার উপরই সব দায়ভার চাপিয়ে দিলেও সিদ্ধার্থ শেষমেষ বুঝতে পারে নিজের ভুল। এতদিন বিনা দোষেই বাড়ির সকলে সমরেশকে ভুল বুঝে এসেছেন। এমনকি সিদ্ধার্থও তার বাবাকে অনেক খারাপ কথা বলেছে। তার জন্য এখন সে অনুতপ্ত।

সিদ্ধার্থের মা এবং সিদ্ধার্থের নজরে ‘বড়বাবু’ ওরফে সমরেশ নেহাতই একজন খারাপ মানুষ। তার উপর আবার সোমের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে মোদক পরিবারের চিরশত্রু ওমি আগারওয়াল সকলের সামনে দাদাইকে অপমান করে। এতে সিদ্ধার্থের সব রাগ গিয়ে পড়ে বড় বাবুর উপর। কিন্তু তিনি যে নোংরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন, এটা মিঠাই ধরে ফেলে। কারণ তার চোখের সামনেই সোমের মায়ের হাতে ত্রিদিবেশকে টাকা তুলে দিতে দেখে সে। সে এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধার্থের সঙ্গে কথা বলতে গেলেও সে তার কোনও কথাই শোনে না। উপরন্তু তাকে বাড়িতে বন্দি রেখে তার উপর নজরদারি চালায়।

যদিও শেষমেষ হল্লা পার্টির সহযোগিতায় মিঠাই বাড়ি থেকে বেরোতে সক্ষম হয়। তারপর রাতের অন্ধকারেই সকলে মিলে প্যাথলজি ল্যাবে আসে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট জানার জন্য। সেখানেই সব রহস্যের সমাধান হয়ে যায়। জানা যায় সোম সমরেশের ছেলে নয়। ত্রিদিবেশ ষড়যন্ত্র করেই সমরেশকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন। এরপর অবশ্য মিঠাইয়ের কাছে উচ্ছে বাবুর মুখ বন্ধ হয়ে যায়। সকলে বাড়ি ফিরে এসে আসল ঘটনা জানায় বড়দের। এই ঘটনার শেষে সিদ্ধার্থ নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং বাবা-ছেলের মধ্যে দূরত্ব এতে অনেকটাই কমে আসে।