শ্রোতাদের মন ভেঙ্গে রেডিও মির্চি ছেড়ে দিলেন মীর, শেষ হয়ে গেল ২৭ বছরের সম্পর্ক

কারও কাছে মিরাক্কেলের মীর, কারও কাছে আবার সানডে সাসপেন্সের ভয়েস আর্টিস্ট, দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর ধরে মীর আফসার আলির (Mir Afsar Ali) গলার আওয়াজের সঙ্গে পরিচিত শ্রোতারা। এই পরিচিতি এতটাই গভীর যে কেবল তার গলা শুনেও ভক্তরা তাকে আলাদা করে চিনে নিতে পারেন। এহেন মীরকে আর রেডিও মির্চিতে শোনা যাবে না। রেডিও মিরচি থেকে অবসর নিলেন ‘সকাল ম্যান’।

রথের দিন সকাল সকাল এই মন খারাপের খবরটা শেয়ার করে নিলেন মীর। প্রায় তিন দশক ধরে তিনি আর জে হিসেবে রেডিও মির্চি সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বলতে গেলে তার হাত ধরেই রেডিও মির্চি আজ এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এরই মধ্যে অবসরের দিন ঘনিয়ে এলো।

 

এদিন সকালে সোশ্যাল মিডিয়াতে রেডিও মির্চি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে যেন রীতিমতো বোমা ফাটালেন মীর। ভক্তদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। ভীষণ মন খারাপ খোদ আর জেরও। প্রায় ২৭ বছর আগের একটি ছবি শেয়ার করে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করলেন মীর।

এই ছবিটি সেই সময়কার যখন রেডিও দুনিয়াতে প্রথমবার মীরের অভিষেক ঘটছে। দিনটা ছিল ১৯৯৪ সালের ৬ই আগস্ট। আকাশবাণীতে সেদিন ছিল মীরের প্রথম দিন। সেই ছবিটাই সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরে অবসরের কথা ঘোষণা করলেন মীর। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, “মির্চি ছেড়েছি, রেডিও নয়। কষ্ট হচ্ছে… একটু… ওই ৯৮.৩% মতন।”

আকাশবাণী দিয়ে রেডিও কেরিয়ার শুরু হলেও রেডিও মির্চির সঙ্গে তার সংযোগ বহুদিনের। তিনি আবার নতুন করে কোনও রেডিও স্টেশনে থামছেন কিনা বা নতুন করে নিজেই কোনও স্টেশন শুরু করছেন কিনা তা স্পষ্ট করেননি। আপাতত বড় পর্দায় বড় কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন তিনি।

মীর হাসতে ভালোবাসেন, সকলকে হাসাতে জানেন। তার এই গুণের কারণে ভক্তরা তাকে মনের মণিকোঠায় তুলে রেখেছেন। তবে তাকে ঘিরেও অনেক বিতর্ক রয়েছে। বিশেষত মৌলবাদীদের চক্ষুশূল তিনি। তবে তাতে থোড়াই কেয়ার থাকেন ৯৮.৩ এর প্রাক্তনী। ট্রোলারদের বিচিত্র মন্তব্যের উত্তর দেন বিচিত্রভাবেই। তার জবাব দেওয়ার ভঙ্গিমাটিও অসাধারণ যা মন ছুঁয়ে যায়।