একঘেয়ে পরকীয়ার গল্পে অতিষ্ঠ দর্শক, ব্যাপক রদবদল আয় তবে সহচরী ধারাবাহিকে

একঘেয়েমিতে ভরে গিয়েছিল ‘আয় তবে সহচরী’ (Aay Tobe Sohochori)। স্টার জলসার (Star Jalsha) নতুন ধারাবাহিক শুরু হয়েছিল একেবারেই আলাদা আন্দাজে। যেখানে একজন মধ্যবয়সী গৃহবধূর কলেজে ফেরার প্রেক্ষাপট দেখানো হয়। শাশুড়ি এবং বৌমার অসমবয়সী বন্ধুত্বের অভিনব গল্প উপস্থাপন করা হয়েছিল। তবে শুরুটা সকল ধারাবাহিকের থেকে আলাদা হলেও ক্রমশ খেই হারিয়ে ফেলে গল্প। গল্পের মোড় ঘুরে যায় পরকীয়াতে।

ধারাবাহিকের একঘেয়েমি দেখতে দেখতে দর্শকরা যেমন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন, তেমনই অতিষ্ঠ হয়েছিলেন ‘আয় তবে সহচরী’র পূর্বতন পরিচালক। ‘আয় তবে সহচরী’র পরিচালনার দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন পরিচালক সুমন দাস। তবে সহচরী কলেজ ছেড়ে সংসারে আবদ্ধ হয়ে সমরেশ এবং দেবিনার পরকীয়ার মধ্যে ফেঁসে যাওয়াতে পরিচালকও ধারাবাহিকের উপর থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলেন। সম্প্রতি এই মর্মে একটি সাক্ষাৎকারে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন পরিচালক সুমন দাস। ‘নেতাজী’ এবং ‘সীমারেখা’র মত ধারাবাহিক পরিচালনা করেছিলেন তিনি।

Director Suman Das Left Direction Aye Tobe Sphpchori Serial

‘আয় তবে সহচরী’তেও সহচরীর কলেজ যাওয়ার পর্বে তিনি বাংলা অধ্যাপকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। প্রথমত ধারাবাহিকের সঙ্গে তার এক মাসের চুক্তি হয়েছিল। তারপরেও নির্মাতাদের বিশেষ অনুরোধে তিনি আরও কয়েক মাস পরিচালনার দায়িত্ব সামলান। তবে তিনি এতে খুশি ছিলেন না। তাই শেষমেষ ধারাবাহিক মাঝপথেই ছেড়ে দিয়ে চলে যান সুমন দাস। তাহলে সুমন দাসের বদলে এখন ‘আয় তবে সহচরী’র পরিচালনা করছেন কে? তিনিও বাংলা টেলিভিশনের সঙ্গে জড়িত নামকরা একজন পরিচালক।

নাম তার মনোজিৎ মজুমদার। তার ঝুলিতে রয়েছে ‘ইরাবতীর চুপকথা’র মত ধারাবাহিক। দর্শকের ক্ষোভের মুখে পড়ে ধারাবাহিকের গল্পের ট্র্যাক পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন নির্মাতারা। ‘দেবিনা নিধন’ পর্ব দেখানোর দাবি করছিলেন তারা। দেবিনার কুটবুদ্ধির কাছে বারবার সহচরীর পরাজয় মেনে নিতে পারছিলেন না দর্শকরা। তাই তড়িঘড়ি প্লট পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন দেবিনাকে জব্দ করতে সহচরী এবং বরফির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে টিপু। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য হলেও সহচরী শাশুড়ি মা, ননদ এবং জা বর্ষাও এখন দেবিনাকে জব্দ করতে হাত মিলিয়েছে।