স্ত্রীকে ভালবেসে দ্বিতীয় তাজমহল বানালেন স্বামী, ঘুরে দেখুন অন্দর মহল

তাজমহল বানিয়ে স্ত্রীকে উপহার দিলেন স্বামী, ঘুরে দেখুন অন্দরমহল

মৃতা স্ত্রীর প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে প্রিয় পত্নীর জন্য তাজমহল (Tajmahal) বানিয়ে দিয়েছিলেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান (Shahjahan)। সেই থেকে শাহজাহান এবং মমতাজের (Mumtaz) প্রেমকাহিনী কার্যত ভারতের ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছে। বিশ্বের সেরা প্রেমের নিদর্শন হয়ে আজীবন থেকে যাবে দিল্লির আগ্রার সেই তাজমহল। তবে না, শুধু আগ্রা নয়, এবার মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরও ভালোবাসার নিদর্শন বুকে নিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালো।

মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বুরহানপুরের বাসিন্দা আনন্দ চোকসে স্ত্রীর প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে তাকে বানিয়ে দিলেন দ্বিতীয় ‘তাজমহল’! এতদিন পর্যন্ত স্ত্রী অথবা প্রেমিকাকে তাজমহলের প্রতিরূপ কিনে এনে দিয়েছেন অনেকেই। তবে এর আগে কেউ কখনও মনের মানুষকে আস্ত তাজমহল বানিয়ে দেওয়ার কথা ভাবেননি। মধ্যপ্রদেশের আনন্দ চোকসে শুধু ভাবলেন না, করেও দেখালেন।

সদ্য হুবহু তাজমহলের আদলে একটি বাড়ি বানিয়ে সেটি নিজের স্ত্রীকে উপহার দিলেন আনন্দ। মুঘল সম্রাট স্ত্রীর স্মৃতিতে বানিয়েছিলেন তাজমহল। আর আনন্দ চোকসে তার স্ত্রীকে ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে তার হাতে তুলে দিলেন ‘দ্বিতীয় তাজমহল’ এর চাবি।

বলতে গেলে এটি তাজমহলেরই যেন এক ছোট্ট সংস্করণ। আনন্দর কথায়, মমতাজের মৃত্যু হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরেই। অথচ তার স্মৃতিতে তাজমহল বানানো হয়েছে দিল্লির আগ্রাতে। শাহজাহান কেন বুরহানপুরে তাজমহল না বানিয়ে আগ্রাতে চলে গেলেন, এই প্রশ্ন তাকে অবাক করে। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তাজমহলের প্রতিকৃতি বানাবেন বুরহানপুরে। নিজের বাড়িটিকেই তাই তাজমহলের আদলে তৈরি করে ফেলেছেন তিনি।

টানা তিন বছরের পরিশ্রমের পর তিনি এমন একটি বাড়ি বানাতে সক্ষম হয়েছেন। শাহজাহান তার স্ত্রীর স্মৃতিসৌধ বানানোর উদ্দেশ্যে দেশ-বিদেশের শ্রমিক, শিল্পী ও কারিগরদের সাহায্য নিয়েছিলেন। তাজমহলে প্রতিকৃতি তৈরি করতে আনন্দও ইন্দোর এবং পশ্চিমবঙ্গের দক্ষ শিল্পীদের সহায়তা নিয়েছেন। এমন একটি অভিনব বাড়ি তৈরি করতে তার ঠিক কত টাকা খরচ হয়েছে, তা অবশ্য তিনি জানাননি।