কথা দিয়েও রাখলেন না কথা! রানু মন্ডলের বায়োপিকে গান গাইলেন না বাবুল সুপ্রিয়

রানাঘাট স্টেশনের লতাকন্ঠী রানু মন্ডলকে (Ranu Mondal) আজ গোটা ভারতবর্ষই চেনে। রানাঘাট স্টেশনে একসময় গান গেয়ে ভিক্ষা করতেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতে নেটিজেনদের নজরে পড়ে রাতারাতি বদলে গিয়েছিল তার ভাগ্য। তার গান গাওয়ার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল বলিউডেও। হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে ‘তেরি মেরি’ গানে গলা মিলিয়ে আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন রানু মন্ডল। তবে জনপ্রিয়তার শিখরে উঠেও ফিরে আসতে হয় তাকে।

রানু মন্ডলের জীবনের উত্থান-পতনের শেডস এবার ক্যামেরার সামনে তুলে ধরা হবে। তার জীবনের অজানা গল্প যারা জানেন না তাদের কাছে রানু মন্ডলকে পৌঁছে দিতে আসছে ‘মিস রানু মারিয়া’ (Miss Ranu Maria), রানু মন্ডলের বায়োপিক। ঋষিকেশ মন্ডলের পরিচালনায় বলিউডে আসছে এই ছবিটি। আপাতত জোরকদমে চলছে ছবি বানানোর প্রস্তুতি। তবে ছবির গান গাওয়া নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে তুমুল শোরগোল পড়ে গেল।

MISS RANU MARIA

রানু মন্ডলের বায়োপিকে গান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। এই ছবিতে রানু মন্ডলের চরিত্রের জন্য গান নাকি তিনি নিজেই গাইবেন। তবে রানু মন্ডল ছাড়াও ছবিতে পুরুষ কন্ঠের গান ব্যবহার করা হবে। প্রথম এই গান গাওয়ার প্রস্তাব গিয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়র কাছে। তবে কথা দিয়ে কথা না রাখার অভিযোগ উঠছে বাবুলের বিরুদ্ধে। পরিচালকের অভিযোগ গান রেকর্ড করার সময়েই নাকি দিনের পর দিন তারিখ বদলাচ্ছেন গায়ক!

পরিচালক আরও অভিযোগ করেন, রেকর্ডিং স্টুডিওতে এসে অন্য ছবির জন্য গানের রেকর্ডিং করে যাচ্ছেন তিনি। ছবির প্রচারের জন্য ফটোশুটও চলছে। কিন্তু ‘মিস রানু মারিয়া’র জন্য গানের সময়ে কোনও না কোনও বাহানা দিচ্ছেন। এই নিয়ে তিনবার গায়ক অজুহাত দিয়ে গান গাইবেন না বলেছেন। পরিচালক এবার আর বাবুলের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি নন। বদলে কুমার শানুকে দিয়ে রেকর্ডিং করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

যদিও এই প্রসঙ্গে বাবুলের স্পষ্ট দাবি, “আমি ওঁদের বলেছিলাম, দুটোর বেশি গান আমি একদিনে গাই না। তাতে গানের প্রতি সুবিচার করা হয় না। যেদিন গাওয়ার কথা ছিল, সেদিন গিয়ে আমি দুটো গান গেয়ে এসেছিলাম। ওই গানটা বাকি রেখেছিলাম তরতাজা গলায় গাইব বলে। আমি আমার সেরাটা দিতে চেয়েছিলাম। ৮০ শতাংশ পারফর্ম করে পুরো পারিশ্রমিক নিতে চাইনি। সেটা যদিও ওঁরা না বুঝতে পারেন, তা হলে তা দুর্ভাগ্যজনক। আমি ওই গানটা আর গাইব না।’’

রানু মন্ডলের জীবনের অনেক ধূসর এবং রঙিন দিক রয়েছে। ছবি বানানোর জন্য যা আদর্শ। দারুণ কন্ঠ এবং গায়কীকে নেটিজেনদের মন লহমাতেই জিতে নিয়েছিলেন তিনি। প্রচুর সুখ্যাতি এবং প্রশংসা পেয়েছিলেন। জীবনে সাফল্য আসতে শুরু করেছিল যে মুহূর্তে ঠিক তখনই মুখ থুবড়ে পড়তে হয় তাকে। নেটিজেনরা এর জন্য অবশ্য তার আচরণগত ত্রুটিকেই দায়ী করেন। ভক্তদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার শাস্তি হিসেবেই তাকে আবার ফিরে আসতে হয় রানাঘাটে তার পুরনো বস্তিতে।