কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে বোবা হয়ে গিয়েছেন, এখন কেমন আছেন সহচরী কনীনিকা

টানা এক বছরে জার্নির পর শেষ হয়ে গেল স্টার জলসার (Star Jalsha) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আয় তবে সহচরী’ (Aay Tobe Sohochori)। তবে গত এক মাস আগেই ‘আয় তবে সহচরী’ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন সহচরী ওরফে কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee)। স্পাইনাল কর্ডের গুরুতর অপারেশনের জন্য তাকে যেতে হয়েছিল চেন্নাইতে। অপারেশনের পরেও টানা একটি মাস তাকে স্ট্রাগল করতে হয়েছে সুস্থ জীবনে ফেরার জন্য।

অপারেশনের প্রায় এক মাস পর কনীনিকা আবার লাইভে এলেন তার অনুগামীদের জন্য। সেই সঙ্গে তিনি জানালেন তার এই জটিল জার্নির কথাও। কনীনিকার শিরদাঁড়ার অপারেশনটা শুধু জটিল ছিল না, অপারেশনের পরেও অত্যন্ত জটিল ছিল তার জার্নি। কথা বলার শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী।

Koneenica Banerjee

কনীনিকা লাইভে এসে জানিয়েছেন ৮ বছর আগে তার একবার অপারেশন হয়েছিল। তবে সেইবার কথা বলার শক্তি হারাননি তিনি। এই দফার জটিল অপারেশনের পর তার মুখ দিয়ে শব্দ বের হচ্ছিল না, বেরোচ্ছিল শুধু হাওয়া। ভয়েস থেরাপি করিয়ে এখন তাও তিনি কথা বলতে পারছেন। কিন্তু তার আওয়াজ ফেরত আসেনি।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন সম্পূর্ণ সুস্থ হতে তাকে এখনও দুই থেকে তিন মাস সময় দিতে হবে। এখনও তার কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছেন ডাক্তাররা। কথা বললেও কেবল পাঁচ মিনিটের জন্য সময় বরাদ্দ করে দেওয়া হয়েছে তাকে। বেশিক্ষণ কথা বললে শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। এমনকি ছোট্ট মেয়ে কিয়ার সঙ্গেও তিনি সেভাবে কথা বলতে পারছেন না।

Koneenica Banerjee

কনীনিকার এই অসুস্থতার কারণেই চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ‘আয় তবে সহচরী’ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। আসলে এই জটিল অস্ত্রপচারের পর তার গলার যে অবস্থা হয় তাতে তিনি এখনই অভিনয়ে ফিরতে পারতেন না। তাই শেষমেষ কনীনিকার অভাবে ‘আয় তবে সহচরী’ বন্ধ করে দিতে হয়। কিন্তু শীঘ্রই তিনি আবারও অভিনয়ে ফিরতে চান।

একজন শিল্পীর কাছে গলার স্বর হারিয়ে ফেলাটা অত্যন্ত কষ্টের। তবে কনীনিকা জানিয়েছেন তিনি হার মানবেন না। তিনি লড়াই করেই এতদিন বেঁচেছেন, ভবিষ্যতেও লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি। তার এই লড়াইতে পাশে পেয়েছেন পরিবার এবং অনুগামীদের। সেই শক্তিতে ভর করে ফিজিওথেরাপি এবং ভয়েস থেরাপি করিয়ে কনীনিকা পুরোদমে সুস্থ হয়ে ওঠার প্রয়াস চালাচ্ছেন। খুব তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে উঠুন কনীনিকা, ফিরে আসুক তার কণ্ঠস্বর।