প্রভাস, জুনিয়র এনটিআর, রামচরণ, অল্লু অর্জুন, ধনুষদের মত দক্ষিণী তারকাদের (South Indian Film Industry) দাপটে আজ অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বলিউড। এই তালিকার নতুন সংযোজন দক্ষিণের আরেক তারকা যশ (Yash)। কেজিএফ (KGF) খ্যাত নায়ককে নিয়ে ক্রেজ প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে দর্শক মহলে। কেজিএফ এর প্রথম পর্যায় প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই যশের খ্যাতি বাড়তে থাকে। আপাতত সিনেপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন কেজিএফ পার্ট টুয়ের (KGF Part 2) জন্য।
এই মুহূর্তে যশের কোটি কোটি ভক্ত রয়েছেন দেশজুড়ে। যশের ছবির চাহিদা রয়েছে বিদেশেও। কেজিএফ পার্ট টু দেশের পাশাপাশি বিদেশেও মুক্তি পাবে। তাই বলতে গেলে আজ দক্ষিণের ব্যস্ততম অভিনেতা যশ। তবে তার জীবনের সংগ্রাম সম্পর্কে জানলে ভিজে যাবে চোখ। এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে কীভাবে আজ দক্ষিণের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করার সুযোগ পেল, চলুন জেনে নিই সেই গল্প।
ছেলেটির আসল নাম নবীনকুমার গৌড়া। বাবা কর্ণাটক রাজ্য পরিবহনের একজন বাস চালক। ছেলেবেলা কেটেছে অনেক অভাব অনটনের মধ্যেই। সেই ছেলেবেলা থেকেই ছিল অভিনয়ের প্রতি টান। অভিনয় করার স্বপ্ন নিয়ে ১২ ক্লাসের পর তিনি স্কুল ছেড়ে দেন। আর পড়াশোনা করেননি। সেই সময় তিনি একটি থিয়েটারে যোগদান করেন। যশ যখন পড়াশোনা ছেড়ে সিনেমাতে অভিনয় করার কথা পরিবারকে জানিয়েছিলেন তখন পরিবারের সদস্যরা তার উপর বেশ ক্ষুব্ধই হয়েছিলেন। তবে হার মানেননি অভিনেতা। ঠিক তারপরই কর্ণাটক ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে চলে আসেন।
যশ যখন বেঙ্গালুরুতে আসেন তখন তার কাছে ছিল মাত্র ৩০০ টাকা। তার পক্ষে কোনও চলচ্চিত্রের নায়কের জায়গাটা পাওয়া ছিল অত্যন্ত কঠিন। তাই তিনি প্রথমে সেটে লাইটম্যান থেকে সেট নির্মাণ কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সিনেমাতে অভিনয় করার আগে তিনি ধারাবাহিকে অভিনয় করার সুযোগ পান। তারপর একসময় কেজিএফ এর মতো ছবির প্রস্তাব আসে তার কাছে। বাকিটা ইতিহাস
কেজিএফ ২ এর ট্রেলার ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। যা দেখে শোরগোল পড়ে গিয়েছে নেট পাড়ায়। ভিডিওতে দেখানো হয়েছে টকটকে লাল গরম মেশিনগান থেকে সিগারেট ধরাচ্ছেন যশ। ছবিটি এই বছরই মুক্তি পাবে। করোনা নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন নির্মাতারা। তাই ছবি মুক্তির ডেট বদলানো হয়নি। ছবিটি মূল ভাষা ছাড়াও ৭টি ভাষাতে মুক্তি পাবে। দেশ-বিদেশের দর্শকরা আপাতত ছবি মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছেন।