কথা বলতে গেলে কেন তোতলায় গুণগুণ, তৃণার জবাব শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন

স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘খড়কুটো’ (Khorkuto) ধারাবাহিকটি একসময় বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে থাকে। এরপর প্রাইম স্লট হারিয়ে খড়কুটোর মতোই ভেসে গিয়ে তার ঠাঁই হয় দুপুরের স্লটে। এই ধারাবাহিক ঘিরে দর্শকদের অনেক অভিযোগ রয়েছে। দর্শকদের একটা বড় অংশ তৃণা অর্থাৎ গুনগুনের তোতলামি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

ধারাবাহিকে প্রায় সময় দেখা যায় গুনগুন কথা বলতে গিয়ে তুতলে যাচ্ছে। গুনগুনের কথা বলার এই ধরণ নিয়ে বেজায় আপত্তি রয়েছে দর্শকদের একাংশের। এই তোতলামিকে কেন্দ্র করে গুনগুন ওরফে তৃণাকে (Trina Saha) মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রোলড হতে হয়। দর্শকদের একাংশের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গুনগুনের এই স্বভাব। ‘তৃণা কি সত্যিই তোতলা?’ সোশ্যাল মিডিয়াতে উঠছে সেই প্রশ্ন।

অবশেষে ট্রোলড হতে হতে শেষমেষ একটি সাক্ষাৎকারে দর্শকদের এই বিষয়ে কড়া জবাব দিলেন অভিনেত্রী। গুনগুন কেন অত তুতলে কথা বলে? তৃণা জবাবে এই দায়ভার চাপিয়েছেন গুনগুনের ‘ড্যাডি’ ওরফে প্রয়াত অভিষেক চ্যাটার্জীর উপরেই! তার দাবি, খড়কুটোয় ‘ড্যাডি’ অর্থাৎ অভিষেক একটু তোতলা। তাই তার মেয়ে হয়ে তৃণাকেও তুতলে কথা বলতে হচ্ছে।

অভিনেত্রী বলেছেন এই কারণেই তিনি তুতলে কথা বলতে শুরু করেন। যাতে দর্শকদের মনে হয় বাবা-মেয়ের মধ্যে জেনেটিক ব্যাপার রয়েছে। তাই তিনি চরিত্রটিকে দর্শকদের সামনে আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার উদ্দেশ্যে এমনটা করেছেন। তবে সেই কারণে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে ক্রমশ অপদস্থ হতে দেখা যায়। গুনগুনের তোতলামি মোটেও পছন্দ করেন না দর্শকদের একাংশ।

উল্লেখ্য অনস্ক্রিন যেমন অভিষেক এবং তৃণার মধ্যে বাবা-মেয়ের সম্পর্কের কেমিস্ট্রি দর্শকদের মন ছুঁয়ে যেত তেমনই বাস্তবেও তাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক ছিল। অভিষেকের মৃত্যুর পর আর কাউকেই ‘ড্যাডি’ বলে ডাকতে পারবেন না তৃণা। অভিনেতার মৃত্যুর পর কান্নাভেজা কণ্ঠে এমনটাই জানিয়েছিলেন গুনগুন।