টিআরপির অভাব নাকি চ্যানেলের সঙ্গে শত্রুতা, কেন আচমকা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মন ফাগুন

বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Telivision) জগতে যেন ঝড় বয়ে যাচ্ছে একের পর এক। জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলিকে (Bengali Mega Serial) বন্ধ করে দিচ্ছে চ্যানেল। স্টার জলসা (Star Jalsha) এখন জি বাংলাকে হারানোর জন্য নতুনদের উপরেই ভরসা রাখছে। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও ধারাবাহিকের বন্ধের খবর আসছে স্টুডিও পাড়া থেকে। বৌমা একঘরের পর পরই যেমন মন ফাগুন (Mon Phagun) ধারাবাহিকের বন্ধের খবরে মন ভেঙে গিয়েছে দর্শকদের।

আগামী ১৭ ই আগস্ট ধারাবাহিকের শেষ শুটিং হবে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে ধারাবাহিকের সম্প্রচার। সেই জায়গায় জায়গা করে নেবে চ্যানেলের আসন্ন নতুন ধারাবাহিক মাধবীলতা। এখন তাই প্রিয় ধারাবাহিক বন্ধ হওয়া নিয়ে দর্শকদের মনে তুমুল জল্পনা চলছে।

কেন আচমকা মন ফাগুন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? এই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে দর্শকদের। আসলে এই ধারাবাহিক গত এক বছর ধরে টিআরপি তালিকাতে ভালই রেজাল্ট করেছে। যদিও কয়েক সপ্তাহ ধরে মন ফাগুনের রেটিং একটু খারাপ যাচ্ছিল। টিআরপির অভাবেই কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই ধারাবাহিক? নাকি এর পেছনে রয়েছে আর কোনও কারণ?

গত বছরের ৩১শে জুলাই মন ফাগুনের যাত্রা শুরু হয়। ঋষিরাজ এবং পিহুর প্রেমের কেমিস্ট্রি দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। তারপর থেকে একটানা টিআরপির সেরা দশের তালিকায় থাকা মন ফাগুনের। টিআরপি থাকা সত্ত্বেও বন্ধ করে দিতে হচ্ছে মন ফাগুন। এর পেছনে নানা সম্ভাবনার তত্ত্ব দিচ্ছেন দর্শকরাই। কেউ বলছেন টিআরপিতে পতনের কারণেই মন ফাগুনের এই হাল, কেউ আবার টিআরপিতে পতনের কারণ খুঁজতে লেগেছেন।

প্রথম প্রথম জি বাংলার লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টারের বিপরীতে ভালই খেলছিল মন ফাগুন। তবে এখন লক্ষ্মী কাকিমার গল্প জমে উঠেছে। লক্ষ্মী কাকিমার জনপ্রিয়তা বাড়তেই মন ফাগুনের টিআরপি কমে যায়। একাধিক নতুন চরিত্রকে এনে টুইস্ট দেওয়ার চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ হয়। দর্শকদের একাংশ মনে করছেন লক্ষ্মী কাকিমার বিরুদ্ধে এঁটে উঠতে না পেরেই এই পরিণতি হচ্ছে ধারাবাহিকের।

All You Need to Know About Madhabilata Actress Shrabani Bhunia

আবার কেউ বলছেন ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যের মান নেমে গিয়েছে। গল্প যেন কোথাও গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে। কেউ আবার দায়ী করছেন মাধবীলতাকে। চ্যানেল নতুন ধারাবাহিককে জায়গা করে দিতে তড়িঘড়িই করে শেষ করে দিচ্ছে মন ফাগুনকে, এমন দাবিও করছেন কেউ কেউ।