বন্ধুত্বের দাম দেননি, গোবিন্দার মেয়েকেও চরম ঠকিয়েছিলেন সালমান, জানা গেল বিস্ফোরক সত্যি

বলিউডের (Bollywood) অভ্যন্তরে তারকাদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে চলে রেষারেষি। এই দুনিয়াতে নায়ক-নায়িকারা একে অপরকে সব সময় টেক্কা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বলিউডে বন্ধুত্বের বড় নিদর্শন হিসেবে একসময় সালমান খান (Salman Khan) এবং গোবিন্দার (Govinda) নাম নেওয়া হত। এদের দুজনের বন্ধুত্ব দেখলে হিংসে হত বাকিদের।

একটা সময় ছিল যখন বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে সালমান-গোবিন্দার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হত। এই দুই তারকাকে একসঙ্গে বহু ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। আবার এমনও হয়েছে যে একে অপরের সুবিধার্থে নিজেকে সেই ছবি থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এমন গভীর বন্ধুত্ব সাধারণত বলিউডে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু একটা ঘটনার পর তাদের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে।

সালমার এবং গোবিন্দা একসময় ছিলেন বেস্টফ্রেন্ড। তারা দুজনে মিলে বানিয়ে ছিলেন ‘পার্টনার’ ছবিটি, যা বলিউডের অন্যতম সেরা ছবি হয়ে থেকে গিয়েছে আজও। এই কমেডি ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৭ সালে। ছবিতে দুজনের অভিনয়ই দারুণ প্রশংসা পেয়েছিল। কিন্তু তারপরেই ঘটে গেল অঘটন। শোনা যায় এই ছবির পর থেকেই নাকি তাদের দুজনের বিবাদ চরমে পৌঁছায়।

পার্টনার ছবি মুক্তি পাওয়ার পর গোবিন্দার মনে সালমানকে নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ছবিটি ব্যাপক হিট হওয়ার পর সালমান গোবিন্দার সঙ্গে আরও বেশ কিছু কাজ করতে চেয়েছিলেন। তবে গোবিন্দা বারবার তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এর কারণ ছিল সালমান নাকি ‘পার্টনার’ ছবির সাফল্য পুরোটাই নিজে একার ঘাড়ে নিতে চেয়েছিলেন!

সালমানের এই আচরণে কষ্ট পেয়েছিলেন গোবিন্দা। তাই তিনি পরবর্তী দিনে আর সালমানের ছবিতে কাজ করতে চাননি। এমনকি ‘পার্টনার ২’ আসা নিয়েও বারবার যে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল তা ভেস্তে দেন গোবিন্দাই। সালমানের সঙ্গে কাজ করতে হবে শুনেই তিনি সরাসরি ‘পার্টনার ২’ সহ বহু ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

এখানেই শেষ নয়, গোবিন্দা নিজে সালমানের সঙ্গে কাজ না করতে চাইলেও তিনি চেয়েছিলেন তার মেয়ে নর্মদাকে ‘দাবাং’ ছবিতে নেওয়া হোক। কিন্তু সালমান সেখানেও গোবিন্দাকে ঠকিয়ে সোনাক্ষী সিনহাকে লঞ্চ করেন তার ছবিতে। সালমানের এই দ্বিচারিতার কারণে গোবিন্দার মেয়ে বলিউড থেকে ছিটকে গেলেন। ২০১৫ সালে তিনি ‘সেকেন্ড হ্যান্ড হাজব্যান্ড’ ছবি দিয়ে ডেবিউ করেছিলেন বটে কিন্তু সেই ছবি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়।