টলিউড (Tollywood) অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী (Prasenjit Chatterjee), চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjit Chakraborty), তাপস পাল, ভিক্টর ব্যানার্জি, মিঠুন চক্রবর্তী, অভিষেক চ্যাটার্জীদের কথা উঠলেই মনে পড়ে যায় ৯০ এর দশকের কথা। নতুন নায়কদের কাঁধের উপর ভর দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল টলিউড। তবে এরপর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলে যায়। এখন কার্যত টলিউড ‘ইন্ডাস্ট্রি’ বলতে সাধারণের মুখে মুখে ফেরে প্রসেনজিতের নাম। বিশেষত প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী নিজের একটি ছবির সংলাপে জোর গলায় বলেছিলেন ‘আমিই ইন্ডাস্ট্রি’!
তবে প্রসেনজিতের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন তার সমকালীন সময়ের অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। বেশ কয়েক বছর আগেইজি বাংলার ‘অপুর সংসার’ টক শোতে উপস্থিত হয়ে সঞ্চালক শাশ্বত চ্যাটার্জির প্রশ্নের উত্তরে তিনি প্রসেনজিৎকে খোঁচা মেরে তার বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন। সৃজিত মুখার্জীর ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে প্রসেনজিতের সংলাপ ছিল, ‘আমি অরুণ চ্যাটার্জী, আমি ইন্ডাস্ট্রি!’ তবে প্রসেনজিৎ যে একাই ‘ইন্ডাস্ট্রি’ একথা মানতে চান না চিরঞ্জিত।
চিরঞ্জিত ‘অপুর সংসার’ এ উপস্থিত হলে সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় তাকে কথায় কথায় প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘বাংলা বিনোদন দুনিয়া বলে, একটা দীর্ঘ সময় প্রসেনজিৎ একাই টলিউডকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন। চিরঞ্জিৎ কী বলেন?’’ প্রশ্নের জবাবে চিরঞ্জিত সাফ বলে দেন, ‘‘৩০ বছর। তখন মিঠুন ছিলেন না? ভিক্টর ছিলেন না? তাপস, অভিষেক, আমি ছিলাম না? আমরা কি তা হলে পার্শ্ব অভিনেতা ছিলাম?’’
তবে প্রসেনজিতের প্রতিভা সম্পর্কে কিন্তু চিরঞ্জিতের মনে কোনও সন্দেহ নেই। তিনি বলেন প্রসেনজিৎ টলিউডকে খুব ভালো করে চেনেন। আবার প্রসেনজিৎকে ‘প্রভাবশালী’ বলেও উল্লেখ করেছেন চিরঞ্জিত। ‘প্রভাবশালী’ প্রসেনজিতের মুখের উপর চট করে কেউ তার ভালো-মন্দ নিয়ে কথা বলার সাহস পায় না! এমনটাই বলেছেন চিরঞ্জিত। চিরঞ্জিতের এই বক্তব্যের সূত্র ধরে শাশ্বত প্রশ্ন করেন, ‘কেন বললে কি হবে?’
এর জবাবে চিরঞ্জিত বলেন, “তুই বল না। মানুষের দোষ গুণ দুটোই তো থাকে। খারাপটা বলবে না?” শাশ্বত জবাব দেন তার কিছু বলার থাকলে তিনি প্রসেনজিৎকে ব্যক্তিগতভাবেই বলবেন। চওড়া হাসি হেসে চিরঞ্জিত বলেন, “ওটা চুপিচুপিই সবাই বলে”। যদিও সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ নিজেকে ইন্ডাস্ট্রি বলে নয়, ইন্ডাস্ট্রির সিইও বলে পরিচয় দিয়েছেন। তার কথায় তিনি শুধু টলিউডকে দাঁড় করানোর জন্য যা কিছু করার দরকার সেগুলো করারই চেষ্টা করে এসেছেন।