ভোটে জিতলে হুগলির মহিলাদের সবার আগে দিদি নাম্বার ওয়ানে খেলার সুযোগ দেবেন, ভোট প্রচারে নেমে একবার এমনই কথা শোনা গিয়েছিল রচনা ব্যানার্জীর মুখে। সামনেই হুগলির লোকসভা নির্বাচন। বলতে গেলে রচনা ব্যানার্জীর ভাগ্য পরীক্ষা হবে রাজনীতির ময়দানে। ভোটের ঠিক চারদিন আগেই রচনার বিরুদ্ধে উঠলো গুরুতর অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
বুধবার সকাল থেকেই হুগলি লোকসভার অন্তর্গত রবীন্দ্রনগরের দেবিদাসতলার একটি স্টুডিওতে প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সেখানে নাকি জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান রিয়েলিটি শোয়ের অডিশন নেওয়া হচ্ছে, এমনটাই অভিযোগ করে বিজেপি। ভোটের ঠিক আগে হুগলির মহিলাদের দিদি নাম্বার ওয়ানে অডিশনের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপি তুললে কার্যত সরগরম হতে থাকে রাজনীতি।
বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় দাবী করেছেন চুঁচুড়াতে দিদি নাম্বার ওয়ান এর অডিশন নেওয়া হচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন তাদের কাছে কিছু ভিডিও এসেছে। তৃণমূলের জন্য ভোট চেয়ে দিদি নাম্বার ওয়ান এর সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে সেখানে, এমনটাই দাবি করছেন লকেট। লকেট সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “তৃণমূল কতটা ফেক হলে এমনটা করতে পারে! জি বাংলা একটি চ্যানেল। সেখানে প্রোডাকশন হাউজ আজ টাই আপ করে ভোটের স্বার্থে মহিলাদের অডিশন নিচ্ছে।”
যদিও বিজেপির এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন রচনা ব্যানার্জী। তার দাবি ওখানে শুটিং হচ্ছে, অডিশন নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বিজেপি দাবি করছে ওই রিয়েলিটি শোয়ের হোর্ডিংয়ে তৃণমূল প্রার্থী অর্থাৎ রচনার ছবি দেওয়া হয়েছে। এবং তিনি যে লোকসভা আসনের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন সেখানেই সেই হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। উল্টো দিকে রচনার দাবী, “ভুয়ো এবং মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে।”
রচনাকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, ‘‘৩৬৫ দিনের শো ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। হুগলিতে সারা দিন ভোটের প্রচার সেরে কলকাতায় যাতায়াত করা সম্ভব নয়। তাই ‘শো’ টেলিকাস্টের জন্য রাতে এখানে শুটিংয়ের বন্দোবস্ত হয়েছে। আমি সারা দিন ভোটের প্রচারের পর রাতে শোয়ের শুটিং করছি। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।ভোট এসে গিয়েছে। এখন এই সব ফালতু কথা বলে নিজের ‘ইমেজ়’ নষ্ট করার দরকার নেই।’’
আরও পড়ুন : কত দূর পড়াশোনা করেছেন রচনা ব্যানার্জী?
আরও পড়ুন : মাসে কত টাকা রোজগার করেন রচনা ব্যানার্জী? কত টাকার মালিক তিনি?
যদিও লকেটরা অবশ্য এত হালকা ভাবে নিচ্ছেন না বিষয়টা। তারা অবিলম্বে শুটিং বন্ধ করার দাবি তুলছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন। তারা এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে নির্বাচন কমিশনের কাছে যাওয়ারও কথা ভাবছেন।