এসএসসি দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) নাম জড়ানোর পর রাজ্যের দিকে উঠছে অভিযোগের আঙুল। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের সমর্থনকারীদেরও ছেড়ে কথা বলছেন না বিরোধীরা। নেটিজেনদের নজরে রয়েছেন জোড়া ফুলের সমর্থনকারী বুদ্ধিজীবীরাও। বাদ যাচ্ছেন না তৃণমূল ঘনিষ্ঠ তারকারাও।
২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসারও ১০ বছর আগে থেকে এই দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে টলিউড অভিনেতা ভরত কলের (Bharat Kaul)। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরাগী। সেই সূত্রে তিনি সফট টার্গেটও। সদ্য জন্মদিন গিয়েছে অভিনেতার। জন্মদিনে তিনি তার মনের মধ্যে জমে থাকা একরাশ অভিমান উগরে দিলেন আনন্দবাজারের কাছে। খোলা চিঠিতে লিখলেন মনের কথা।
তিনি লিখেছেন, “২০০১ সালে তাপস পাল প্রথম বিধায়ক নির্বাচনের টিকিট পেয়েছিল। ওঁর হয়ে প্রথম প্রচারে অংশগ্রহণ। তাপসের হাতে তুলি। আমার হাতে রঙের কৌটো। আমরা দেওয়াল লিখছি! আমি কি সেই প্রচারে টাকা নিয়েছিলাম? কে কী করল। কোপ আমাদের ঘাড়ে।” এখানেই শেষ নয়, তিনি বাম সমর্থক এক অভিনেত্রীকেও একহাত নিয়েছেন তার লেখনীতে।
ভরত কল লিখেছেন, “যত কথা হয়, মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন জানালে। একটাই কটূক্তি, ‘চটিচাটার দল’! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চটি কেন চাটতে যাব? দিদি প্রযোজক না পরিচালক! এ দিন আমাদের বলেছেন। এ বার ঋদ্ধি সেনের পিছনে পড়েছেন। তিনি নিজেও তো একই পেশার। তার পরেও আগের-পরের কোনও প্রজন্মকেই ছাড়ছেন না!” ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, “কাক কাকের মাংস খায়’’!
ভরত কলের কথায়, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই কেউ নেটমাধ্যমে অনবরত সহ-অভিনেতাদের প্রতি বিষ উগরে দিচ্ছেন! ‘‘এ রকম আরও বহু অভিনেত্রী আছেন। নাম জানি। বলব?’’— এ রকমই মন্তব্য তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে বাকিদের প্রতিক্রিয়া আছড়ে পড়ছে!”
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “অর্পিতাকে ছোট না করেই বলছি, কত দিন অভিনয় করেছেন? কে চেনেন তাঁকে? আমার ৩০ বছরের অভিনয় জীবন। আমি চিনি না। হয়তো দু-চারটি ছবিতে কাজ করেছেন। বাংলা-ওড়িয়া মিলিয়ে। তাতেই তিনি অভিনেত্রী! সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের বাকি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে কুৎসা শুরু! কেন?”