এযুগেও অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে এত প্রশ্রয়! ‘গৌরী এল’ বয়কটের ডাক সোশ্যাল মিডিয়ায়

জি বাংলার (Zee Bangla) ‘গৌরী এল’ (Gouri Elo) ধারাবাহিকটি আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়ল। বেশ কিছুদিন আগেই এই ধারাবাহিকের বিরুদ্ধে অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন দর্শকদের একাংশ। এবারেও জি বাংলার এই টপার ধারাবাহিকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠছে।

প্রধানত অতিলৌকিক এই কাহিনীতে গৌরীকে মা কালীর অংশ হিসেবেই উপস্থাপন করার চেষ্টা হয়ে এসেছে প্রথম থেকে। গৌরীর মধ্যে রয়েছে অলৌকিক কিছু ক্ষমতা। মা ঘোমটা কালী তার সহায়। তাই যখনই গৌরী বিপদে পড়ে, তিনিই তাকে রক্ষা করেন। এই পর্যন্ত মেনে নিতে রাজি দর্শকরা। কিন্তু এখন এই গল্পে গৌরীর হাতে এমন কিছু কাণ্ডকারখানা দেখানো হচ্ছে যা দেখে আধুনিক মনস্করা বিরক্ত হচ্ছেন।

ধারাবাহিকে এখন দেখানো হচ্ছে গৌরী তার সংসার জীবন ত্যাগ করে দেবী মায়ের মত ভক্তদের উপকার করছে। ঈশানের সঙ্গে গৌরীর দ্বিতীয় বিবাহের পর ফুলশয্যার রাতেই তাকে ঘর থেকে তুলে এনে দেবী মা বলে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করে ছোট দাদু। তারপর থেকে গৌরী মায়ের মন্দিরে বসে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করে চলেছে!

ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক কিছু পর্ব জুড়ে দেখানো হচ্ছে গৌরীর অলৌকিক কীর্তি। তার কাছে আনা হচ্ছে মুমূর্ষ রোগীদের। আর গৌরী তার অলৌকিক ক্ষমতা বলে তাদের সুস্থ করে দিচ্ছে বিনা চিকিৎসাতেই! অন্যদিকে তার ডাক্তার স্বামী ঈশান এইসব অন্ধ বিশ্বাস, কুসংস্কার চোখের সামনে ঘটতে দেখেও কিছুই করে উঠতে পারছে না। সে গৌরীকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

শুধু তাই নয়, এই পরিস্থিতিতে পড়ে গৌরীও নিজেকে দেবী বলেই ভাবতে শুরু করেছে! ঈশান তাকে এসব থেকে বেরোতে বললেও সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইছে না। শুধু মায়ের কাছে প্রার্থনা করে ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করার মধ্যেই থেমে থাকলো না গৌরী। সে আবার এক রোগীর জন্য তার বানানো পুরিয়াও নিয়ে যেতে বলে। ওষুধের দরকার নেই, গৌরী মায়ের দেওয়া পুরিয়াতেই নাকি সুস্থ হবে রোগী!

এদিকে এসব দেখে ভক্তরাও জোরে জোরে উল্লাসিত কন্ঠে বলছে জয় গৌরী মায়ের জয়! অন্যদিকে ছোট দাদু আবার মাঝখান থেকে এসব থেকেই ব্যবসার ফন্দি এঁটেছেন। তিনি বলছেন, “যারা যারা গৌরী মায়ের সেবা পেয়েছেন আপনারা, আপনাদের আরও বেশি প্রণামী দিতে হবে!” সোশ্যাল মিডিয়াতে এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার ট্রোলিং। এমনকি এই গাঁজাখুরি গল্প বন্ধ না হলে বয়কটের ডাকও দিচ্ছেন কেউ কেউ।