সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) তারকাদের সঙ্গে ভক্তদের যোগাযোগের অন্যতম বড় মাধ্যম। আগে তারকাদের শুধু পর্দায় দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হত। এই স্মার্টফোনের দুনিয়াতে তারকাদের পর্দায় দেখার জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতে হয় না, হাতের স্মার্ট ফোনই হয়ে উঠেছে মুশকিল আসান। অন্যদিকে অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরাও তাদের স্টার ইমেজ বজায় রাখতে সোশ্যাল মিডিয়াকেই হাতিয়ার করছেন।
সাধারণের পাশাপাশি তারকারাও দিনের একটা বড় সময় সোশ্যাল মিডিয়ার পেছনে ব্যয় করে থাকেন। এই ইঁদুর দৌড়ের যুগে নেট মাধ্যমে লাইক, ফলোয়ার বাড়ানোটাও যেন একটা প্রতিযোগিতা হয়ে উঠেছে। এমনটা করতে গিয়ে তারকারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করতেও ২ বার ভাবছেন না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় কে ভাল বলছেন কে নিন্দে করছেন, দিনরাত শুধু এই নিয়ে না ভেবে অভিনয়ে মন দেওয়ার পক্ষপাতী অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)।
অনির্বাণের মতে সোশ্যাল মিডিয়ার খাপ পঞ্চায়েতের কারণে যদি কারও মন খারাপ হয় তাহলে নেট দুনিয়া ত্যাগ করাই ভাল। নইলে খারাপ লাগা বাড়তেই থাকে। তিনি কাউকে উপদেশ দিতে চাননি, তবে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুক পোস্ট পড়ে যদি কারও খারাপ লাগে, মন ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে, তাহলেই তো মুশকিল।
অভিনেতা আরও বলেছেন, থিয়েটার, সিনেমা কিংবা অভিনয় শিল্প সবকিছুই এর থেকে অনেক বড়। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাওয়া এই খারাপ লাগাটাই কয়েক বছর পরে ব্যাধি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। বহু অভিনেতা এবং অভিনেত্রী তাদের অভিনয়ের পেছনে যে পরিশ্রম করছেন, তার থেকেও বেশি পরিশ্রম তারা করছেন ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক সাজাতে।
অনির্বাণ মনে করেন সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে বরং ক্লোজ শটে কে কতটা নিখুঁত অভিনয় করতে পারছেন সেটার উপর গুরুত্ব দিলেই মুশকিল আসান হয়ে যায়। অনির্বাণ নিজেও সোশ্যাল মিডিয়ার বড় একটা ধার ধারেন না। সিনেমা, ওয়েব সিরিজ আর নাট্যমঞ্চে অভিনয় নিয়েই দিন কেটে যায় তার।
ইদানিং থিয়েটার ছেড়ে বা থিয়েটারের পাশাপাশি যদি কেউ পর্দায় অভিনয় করেন তাহলে তাকে ‘জাতে ওঠা’, ‘উত্তরণ’ বলা হচ্ছে। সেই সম্পর্কে অনির্বাণের মন্তব্য, “এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। এক জন মঞ্চের অভিনেতা ভাল কাজ করলে, জনপ্রিয়তা পেলে, তাকে সিনেমায় আনা হয়। সিনেমায় ভাল করলে তিনি আরও বেশি মানুষের ভালবাসা পান। সারা বিশ্বে এত কাল ধরে এমনটাই হয়ে আসছে। এতে কে প্রশংসা করল, আর কে করল না, সে সব ধর্তব্যের মধ্যেই আসে না। ঈর্ষাজনিত কারণে যদি কেউ কোনও মন্তব্য করে থাকেন, সেটাও প্রথাগত ভাবেই আসছে”।