পানামা কেলেঙ্কারিতে (Panama Paper) নাম জড়িয়ে সদ্য ইডির দপ্তরে হাজিরা দিয়ে এসেছেন বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। ঐশ্বর্যের বিরুদ্ধে বিদেশি সম্পত্তিগত আইনের আওতায় কোটি কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে পানামা কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ফাঁস হয়ে যাওয়া কাগজে শুধু ঐশ্বর্য নন, নাম জড়িয়েছে বলিউডের (Bollywood) বহু তাবড় তাবড় সেলিব্রিটিদের। এক নজরে দেখে নিন কোন কোন সেলিব্রিটির বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ তুলেছে এই পানামা কেলেঙ্কারি মামলা।
ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan) : পানামা কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলাতে ঐশ্বর্যের বিরুদ্ধে একটি বিদেশি কোম্পানি সংক্রান্ত ইনকাম ট্যাক্সে কারচুপি করার অভিযোগ উঠেছে। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট আইনের আওতায় তদন্ত করার স্বার্থে বিশ্ব সুন্দরীকে ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে হয়েছিল। টানা পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। ঐশ্বর্য ছাড়াও তার মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।
অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) : ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের শ্বশুরমশাই অমিতাভ বচ্চনের বিরুদ্ধে চারটি জাহাজ সংস্থার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে তার দিকে প্রশ্নের আঙ্গুল উঠলে তিনি সরাসরি বিবৃতি দেন, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে উল্লিখিত সি বাক শিপিং কোম্পানি লিমিটেড, লেডি শিপিং লিমিটেড, ট্রেজার শিপিং লিমিটেড এবং ট্রাম্প শিপিং লিমিটেড কোম্পানির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি কোনদিনও এই কোম্পানীগুলির ডিরেক্টর ছিলাম না।” অমিতাভের দাবি তার নাম খারাপ করতে এমন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি এমন কোনো অবৈধ বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত নন।
অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan) : বলতে গেলে গোটা বচ্চন পরিবারই পানামা কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িত। ঐশ্বর্যের আগে অভিষেক বচ্চনকেও পানামা পেপার মামলাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। তার বিরুদ্ধে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ছিল। ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট আইন এবং প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন অভিষেক বচ্চন।
অজয় দেবগন (Ajay Devgan) : অজয় দেবগনের নামেও এই মামলার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে ইডির কাছে। ইডির কাছে তথ্য রয়েছে, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড কোম্পানি, ম্যারিলেবনে এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার অজয়। অজয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার দুই সন্তানের নামে নাইসা য়ুগ এন্টারটেইনমেন্টের নামে ওই বিদেশি কোম্পানির শেয়ার কিনেছিলেন। তবে অজয় দেবগনের দাবি তিনি আর বি আই অথবা ভারত সরকারের নিয়মের বাইরে যাননি। আইনত বৈধ ভাবেই তিনি এই কোম্পানিগুলিতে তার টাকা বিনিয়োগ করেছেন।