দু দুবার বিয়ে, পাননি স্বামীর সুখ, কেন সংসার ভাঙলো রচনা ব্যানার্জির

টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee) একসময় বাংলা এবং ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতে চুটিয়ে কাজ করেছেন। একের পর এক ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন বক্স অফিসকে। এখন অভিনয় ছেড়ে জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ানের সঞ্চালনার কাজ করছেন তিনি। তাও প্রায় ১০ বছর হতে চললো। সুপারহিট অভিনেত্রী, সুদক্ষ সঞ্চালিকা রচনা একজন ভাল মা, তবে ভাল গৃহিণী তিনি হতে পেরেছেন কি?

রচনা ব্যানার্জী যখন ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতেন তখন সেখানকার সুপারহিট নায়ক সিদ্ধান্ত মহাপাত্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। শোনা যায় তারা নাকি বিয়েও করেছিলেন। তবে এক বছরের মধ্যে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর রচনা কলকাতায় ফিরে আসেন এবং ব্যবসায়ী প্রবাল বসুকে বিয়ে করেন। তাদের এক সন্তানও রয়েছে, নাম তার প্রনীল।

তবে রচনা ব্যানার্জীর বিবাহিত জীবন সুখের ছিল না। কোনও এক অজানা কারণে প্রবালের সঙ্গেও থাকতে পারেননি রচনা। ছেলেকে নিয়ে তিনি আলাদা হয়ে যান। এখন সিঙ্গেল মাদার হিসেবে ছেলের দায়দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে ছেলের কাছ থেকে বাবাকে আলাদা করেননি রচনা। প্রবালের সঙ্গে তার আইনি বিচ্ছেদ হয়নি, তা শুধু কেবল ছেলের কথা ভেবেই।

টলিউডের এত বড় একজন অভিনেত্রী জীবনে দাম্পত্য সুখ পেলেন না। একবার জি বাংলার টকশো ‘অপুর সংসার’-এ সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, “কী করলে রচনা একজন সুগৃহিনী হতে পারতেন?’’ উত্তরে রচনা বলেছিলে কম্প্রোমাইজ করলে তিনি ভাল স্ত্রী হতে পারতেন। তবে রচনা কম্প্রোমাইজ করার বদলে নিজের কেরিয়ারেই টিকে থাকতে চেয়েছেন বরাবর।

এটা শুধু তার নিজের ক্ষেত্রে নয়, রচনা বরাবর অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত অভিনেত্রীদের একই পরামর্শ দিয়ে এসেছেন। বাংলার সমস্ত মেয়েদের তার একটাই পরামর্শ, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। আসলে অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত যারা তাদের পেশা আর পাঁচটা পেশার থেকে আলাদা। তাই অভিনেত্রীদের উদ্দেশ্যে রচনার পরামর্শ জীবনসঙ্গী হিসেবে তাকেই বেছে নিতে হবে যিনি এই পেশাটাকে বুঝবেন।

রচনা বলেন, “অনেক অ্যাডজাস্ট করতে হবে। যারা অভিনয় করেন তাদের অভিনয় জগতের মানুষের সঙ্গে বিয়ে করা উচিত। অথবা এই পেশাকে বুঝবেন এমন মানুষকে বিয়ে করা উচিত।” একবার দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে দাঁড়িয়েও তিনি বলেছিলেন, “আমি ওম্যান এমপাওয়ারমেন্ট নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি নিজে কষ্ট করে আজ রচনা ব্যানার্জি হয়েছি। আমি ট্রোলারদের নিয়ে ভাবি না। আমার কারও কাছে কিছু শোনার নেই কেউ আমাকে এক পয়সা দিয়ে হেল্প করেনি যখন প্রথম কাজ করেছি ৪০০ টাকা পেতাম। আমাকে কেউ বানাইনি আমি নিজে থেকে নিজের জায়গায় এসে পৌঁছেছি।’’