জি বাংলার (Zee Bangla) মিঠাই (Mithai) ওরফে সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Saha) বাস্তবেও ভীষণ অস্থির স্বভাবের মানুষ। সেটে শুটিং করতে গিয়ে দুমদাম পড়ে যেতে থাকে তুফান মেল। অতিরিক্ত চঞ্চল স্বভাবের জন্য মাঝেমধ্যেই চোট, আঘাত পেতেই থাকেন তিনি। এর আগেও পায়ে চোট পেয়েছিলেন, সেই ব্যথা নিয়ে শুটিংও করেছেন। আর এবার নিজের ‘কেয়ারলেস’ স্বভাবের জন্য আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসলেন সৌমিতৃষা।
এমনিতেও মিঠাই টিমের সময়টা এখন বিশেষ ভাল নয়। অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়ে দুদিন আগে চোট পেয়েছিলেন ওমি ওরফে জন ভট্টাচার্য। দুদিন বাদেই রক্তাক্ত হল মিঠাই রানী। তিনি চোট পেয়েছেন কানে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই আঘাতের ছবি তুলে ধরেছেন তিনি। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন কিভাবে তিনি এই কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন।
ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে মিঠাইয়ের ডান কানে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। আঘাতের জায়গাটা ফুলে আছে ভীষণভাবে এবং লাল হয়ে আছে। দেখলেই আঁতকে উঠতে হয়। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘কেয়ারলেস মানুষ হলে যা হল আর কী’। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কাছেও অভিনেত্রী জানিয়েছেন নিজের ‘কেয়ারলেস’ স্বভাব এবং তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে তিনি এই কান্ডটি ঘটিয়ে ফেলেছেন।
২ মাস আগে কান ফুটিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু ওই জায়গাটা শুকোয়নি আজও। ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতে রাতে পুস খুলতে গেলে কানের দুলটা এক ঝটকায় খুলে যায়। কান কেটে দর দর করে রক্ত পড়তে থাকে কান থেকে। এখানেই শেষ নয়। কানের ফুটো যাতে বন্ধ না হয়ে যায় তার জন্য চোট লাগা কানেই ফের সোনার দুল পরতে যান তিনি। এরপর ঘটে যায় আরেক বড় বিপদ।
ওই সোনার দুল ভুলভাবে কানের ফুটোর মধ্যে এমন ভাবে ঢুকে গিয়েছিল যে সেটি আর বের করা যাচ্ছিল না। তার কথায়, ‘উলটো টান দিচ্ছি খুলছে না। হয়ত শিরায় আটকে গিয়েছিল, এরপর ডাক্তারকেও ফোন করি। তৈরি হয়ে বার হতেও যাচ্ছিলাম। আর মনে মনে গোপালকে ডাকছিলাম, জন্মাষ্টমীর আগের দিন আমার সঙ্গে কী করছো! এর মাঝে হেঁটকা টান দিতে কানের খুলে যায়। তবে প্রচণ্ড রক্ত বার হচ্ছিল। রক্ত তো বন্ধই হচ্ছিল না। অনেকক্ষণ রক্ত চেপে রাখতে হয়েছিল’।
স্বভাবতই এই ঘটনায় প্রচন্ড ব্যথা পেয়েছেন তিনি। অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে কোনওক্রমে নিজেকে সুস্থ করার চেষ্টা করছেন। কানের এই অবস্থা নিয়ে পরের দিন সকালেই আবার শুটিংয়ের জন্য বেরিয়েও পড়েন তিনি। মিঠাই রানী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক, এমনটাই চাইছেন তার ভক্তরা।