স্টার জলসার (Star Jalsha) আয় তবে সহচরী (Aay Tobe Sohochori) ধারাবাহিকটি তুলনামূলকভাবে আর পাঁচটা ধারাবাহিকের তুলনায় শিক্ষামূলক পটভূমিকায় তৈরি হয়েছিল। যেখানে এক মধ্যবয়সী গৃহবধূর আবার শিক্ষার আঙিনায় ফেরার লড়াই দেখানো হচ্ছিল। সঙ্গে ছিল এক অসমবয়সী বন্ধুত্বের মিষ্টি গল্প। কিন্তু দর্শকদের চাহিদায় এই ধারাবাহিকেও এসে ঢোকে পরকীয়া আর কুটকাচালী। এতে টিআরপি বাড়ল ঠিকই কিন্তু ধারাবাহিকের মান নেমে গেল।
‘আয় তবে সহচরী’ পরকীয়া আর বারবার বিয়ে দেখিয়ে ভালো টিআরপি পেল ঠিকই, কিন্তু মাঝখান থেকে খেই হারালো মূল গল্প। এক মধ্যবয়সী গৃহবধূর কলেজে পড়াশোনা করার ট্র্যাক দর্শকরা ভালোভাবে নিলেন না। বদলে কুটকাচালী আর পরকীয়া দিয়েই রমরমিয়ে উঠলো টিআরপি। তবে এদিকে আবার ধারাবাহিক মূল গল্প থেকে সরে আসার কারণে দর্শকদের একাংশও ‘আয় তবে সহচরী’ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা, ট্রোলিং আর মিমের বন্যা বইছে এখন। এমতাবস্থায় কিন্তু দর্শকদের উপরই সব দায় ছেড়েছেন অভিনেত্রী কণীনিকা ব্যানার্জি। এদিকে আবার নতুন ধারাবাহিক ‘এক্কাদোক্কা’ এসেই ‘আয় তবে সহচরী’র স্লট ছিনিয়ে নিয়েছে। সাড়ে নটাতেও রিজওয়ান-ইন্দ্রানীর নতুন ধারাবাহিক ‘নবাব-নন্দিনী’ আসছে। তাই সহচরীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাত দশটায়।
কণীনিকার প্রশ্ন, দর্শকরা কেন নিম্ন রুচির ধারাবাহিক দেখে টিআরপি বাড়ান? কণীনিকার এই সাক্ষাৎকার অবশ্য বেশ পুরনো, কিন্তু এখনও প্রাসঙ্গিক। কণীনিকা তার সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন দর্শকরা দেখতে চান বলেই ধারাবাহিকে পরকীয়া, কুটকাচালি দেখানো হয়। দর্শকদের রুচি যেদিন পরিবর্তিত হবে সেদিন বাংলা ধারাবাহিকের মান উন্নত হবে।
https://youtu.be/_qK4dg0r0X4
সহচরীর পড়াশোনা দেখালেই নেমে যায় টিআরপি। এক মহিলা অন্য মহিলাকে অত্যাচার করছে, বাচ্চাদের নিপীড়ন করছে, পরকীয়া দেখালে তবেই টিআরপি বাড়ে। “আসলে আমরা সবাই শিক্ষিত মানুষের মুখোশটা পরে নিয়েছি, কিন্তু আমরা এখনও সেই একই সমাজের একই জায়গায় বসে রয়েছি”!, বলেছেন কণীনিকা।