ছবি চলেনি তাই ফেরত দিতে হবে টাকা! আমির একা নন, তালিকায় রয়েছে এই ৫ সুপারস্টার

আমির খান এবং করিনা কাপুর খান অভিনীত ছবি লাল সিং চাড্ডা বানাতে নির্মাতাদের খরচ হয় প্রায় ১৮০ কোটি টাকা। ছবি মুক্তির পাঁচ দিন পরও কেবল ৩৭ কোটি টাকা উঠেছে। যার ফলে নির্মাতাদের এখন মাথায় হাত।‌ এমতাবস্থায় শোনা যাচ্ছে যে আমির খান নাকি ক্ষতিপূরণ দিতে চলেছেন। তবে বলিউডের (Bollywood) ইতিহাসে এই ঘটনা নতুন নয়। আমিরের আগেও এমন বহু তারকাকেই ছবি ফ্লপ (Flop Movie) হওয়ার কারণে টাকা ফেরত দিতে হয়েছে। আজ এই প্রতিবেদনে দেখে নিন তাদের তালিকা।

শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) : বলিউডে শাহরুখ খান এবং কাজল জুটিকে টেক্কা দেওয়ার মত তারকা জুটি নেই আর একটিও। এই ম্যাজিকে ভর করে বহু বছর বাদে শাহরুখ এবং কাজলকে নিয়ে ধামাকা দিতে চেয়েছিলেন নির্মাতারা। শাহরুখ খান, কাজল, বরুণ ধাওয়ান এবং কৃতি শ্যাননকে নিয়ে মুক্তি পেয়েছিল ছবি দিলওয়ালে। ছবি ফ্লপ হওয়ার কারণে শাহরুখ ৫০ শতাংশ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন।

দিলওয়ালের পর শাহরুখের আরেক ফ্লপ ছবি ছিল জব হ্যারি মেট সেজল। ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় এই ছবিতে শাহরুখের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে ছিলেন অনুষ্কা শর্মা। এই ছবিটিও বক্স অফিসে একেবারেই আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। যে কারণে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল শাহরুখ খানকে।

রজনীকান্ত (Rajinikanth) : ক্ষতিপূরণ দেওয়ার এই ট্রেন্ড আসলে চলে আসছে বহু বছর ধরেই। ২০০২ সালের ১৫ ই আগস্ট রজনীকান্তের ‘বাবা’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। থ্যালাইভার এই ছবিটিও চূড়ান্ত ব্যর্থতার মুখ দেখে। যে কারণে পরিচালকদের টাকা ফেরত দিয়েছিলেন রজনীকান্ত। সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন অক্ষয় কুমার।

চিরঞ্জীবী এবং রামচরণ (Chiranjeevi And Ramcharan) : দক্ষিণের এই দুই সুপারস্টারও বড় মনের পরিচয় দিয়েছিলেন। বাবা ছেলের ছবি ‘আচার্য’ একেবারে ভাল ব্যবসা করতে পারেনি। পরিবেশকদের দিকটা চিন্তা করে তারা ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন বলে জানা যায়। বাঙালি অভিনেতা যীশু সেনগুপ্তও এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।

সালমান খান (Salman Khan) : সালমান খানকেও একবার ফ্লপ ছবির কারণে টাকা ফেরত দিতে হয়েছিল। তার সিনেমা ‘টিউবলাইট’ সমালোচকদের থেকে দারুণ প্রশংসা পেলেও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। তাই ডিস্ট্রিবিউটরদের ৩২.৫ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছিলেন সালমান।