কেন মা হতে পারলেন না লাবণী সরকার? জানলে শ্রদ্ধায় নত হবে মাথা

https://tv9bangla.com/entertainment/why-did-laboni-sarkar-never-had-a-biological-child-actress-reveals-the-truth-1063754.html

লাবণী সরকার এবং কৌশিক ব্যানার্জী, টলিউড ইন্ডাস্ট্রির পাওয়ার কাপল বলা যেতে পারে দুজনকে। অভিনয় করতে এসেই দুজনের আলাপ হয়। একে অপরের প্রেমে পড়েন এবং বিয়ে করেন তারা। তবে লাবণী এবং কৌশিক দুজনেরই খারাপ অতীত ছিল। দুজনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে। শুধু কৌশিককেই নয়, কৌশিকের ছেলে সুস্নাতকেও আপন করে নিয়েছিলেন লাবণী।

অনেকেই জানেন কৌশিক ব্যানার্জীর প্রথম স্ত্রী হলেন শ্যামল মিত্রের মেয়ে মনোবীণা মিত্র। তাদেরই ছেলে সুস্নাত। কিন্তু মনোবীণা ও কৌশিকের বিবাহিত জীবন সুখের ছিল না। মনোবীণার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ছেলেকে নিজের কাছেই রেখেছিলেন কৌশিক। কিন্তু একা হাতে ছেলেকে মানুষ করা তার পক্ষে সহজ ছিল না।

Kaushik Banerjee And Laboni Sarkar

কৌশিক তখন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে চুটিয়ে কাজ করছেন। অন্যদিকে লাবণীও তখন কৌশিকের সহ অভিনেত্রী। দুজনের মধ্যে আলাপ হয়। তাদের দুজনেরই জীবন অনেকটা একরকম ছিল। প্রথম বিয়ে থেকে দুজনেই ধাক্কা খেয়েছেন। অন্যদিকে সুস্নাতকে দেখে লাবণীর মধ্যে মাতৃত্ব জেগে ওঠে। আর সুস্নাতও লাবণীর মধ্যেই নিজের মাকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করে।

লাবণী এবং কৌশিকের বিয়ে হয়। সুস্নাতও ধীরে ধীরে মায়ের অভাব ভুলতে শুরু করেন। তবে এই বিয়ের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি নিজে মা হওয়ার ইচ্ছে চিরতরে বিসর্জন দেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে যখন সুস্নাতর প্রথম দেখা হয়, দেখি মা ছেড়ে চলে যাওয়া এক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা ছোট্ট ছেলে। সেই ছেলেটাকে কাছে টেনে নিয়েছিলাম। আমার মধ্যে হারিয়ে যাওয়া মাকে খুঁজে পেয়েছিল সুস্নাত।”

Laboni Sarkar

লাবণী আরও বলেছেন, “আমি আর কৌশিক যদি আবারও একটি সন্তানের জন্ম দিতাম, ছেলেটা আবার হয়তো নিরাপত্তাহীনতায় চলে যেত। ওই শক ওকে আমি দিতে চাইনি। তাই নিজে সন্তানের জন্ম দিইনি।” শ্রীরামচন্দ্রের সৎ মা কৈকেয়ীর মত নয়, লাবণী শ্রীকৃষ্ণের যশোদা মায়ের মত মা হতে চেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন : মাসে কত টাকা রোজগার করেন রচনা ব্যানার্জী? কত টাকার মালিক তিনি?

Laboni Sarkar

আরও পড়ুন : প্রথম বিয়ে ছিল দুর্বিষহ! বিবাহিত জীবনে চরম অশান্তিতে ভুগেছেন কৌশিক-লাবণী

টিভি৯ বাংলাকে একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে লাবণী বলেছেন, “ইভল আইকে স্মরণ করে বলছি, আমার আর আমার সন্তান সুস্নাতর সম্পর্কটাকে নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। বিগত ২৭ বছরে মুখ খুলিনি। তাও TV9 বাংলাকে বলতে চাই, এটা আমার কাছে ঈশ্বরের কাছে পাওয়া একটা সম্পর্ক। এটাকে আমি জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিই।”