নামের পাশে পদবী কেন ব্যবহার করেন না রেখা? কী তার আসল পরিচয় জানলে চমকে যাবেন

বলিউড (Bollywood) অভিনেত্রী রেখা (Rekha) হলেন ইন্ডাস্ট্রির এভারগ্রিন সুন্দরী। বয়স তার ৬০ এর গন্ডি পেরিয়ে এখন ৭০ এর দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। অথচ রেখার রূপের গ্ল্যামারের কাছে বলিউডের অন্যান্য সুন্দরীরা পাত্তাও পাবেন না। রেখার রূপ রহস্য যেমন সাধারণ মানুষকে ভাবায় তেমনি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও অনেক রহস্য রয়েছে।

খুব কম বয়সে অভিনয় জীবনে প্রবেশ করেছিলেন রেখা। হিন্দি সিনেমার সুপার হিট নায়িকা হলেও রেখার অভিষেক হয়েছিল তামিল ছবি দিয়ে। তার বাবা ছিলেন বিখ্যাত তামিল সুপারস্টার জেমিনি গনেশন (Jemini Ganesan)। তার মা পুষ্পাবলি ছিলেন তেলেগু সিনেমার একজন অভিনেত্রী। তবে এমন সুপারস্টার বাবা-মার মেয়ে হয়েও রেখাকে ছোটবেলা থেকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে।

REKHA FATHER AND MOTHER

রেখা যখন ছোট ছিলেন তখন তার বাবা জেমিনি গনেশন স্ত্রী এবং কন্যাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তার একাধিক বিয়ে ছিল বলে জানা যায়। তার চারটি বিয়ে ছিল, রেখার মাকে তিনি বিয়ে করেছিলেন কিন্তু স্ত্রীর মর্যাদা দেননি। বাবার হাত মাথার উপর থেকে সরে যাওয়ার পর একপ্রকার বাধ্য হয়ে সিনেমাতে নামতে হয়েছিল ছোট্ট রেখাকে।

রেখা শুধু একা নন, তার আরেকজন বোন রয়েছেন। জেমিনি গনেশনের সঙ্গে বিয়ে না হতেই পুষ্পাবলি দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। জেমিনি কখনও রেখাকে নিজের মেয়ে বলে স্বীকারও করেননি। রেখা যে বিখ্যাত এই তামিল সুপারস্টারের মেয়ে সেকথা জানা গিয়েছিল রেখার নিজের একটি ইন্টারভিউতে।

REKHA AND JEMINI GANESAN

রেখা বলেছিলেন তিনি কখনও তার বাবাকে বাড়িতে দেখেননি। আমার মা সবসময় আমার বাবার প্রতি ভালবাসায় মগ্ন থাকতেন। রেখা বলেছিলেন তার বাবার আরও সন্তানাদি ছিল। তাই তিনি কখনও রেখা এবং তার বোনকে আপন করে নেননি। দুই মেয়েকে নিয়ে বাঁচার জন্য রেখার মা একা রোজগার করতেন। তাই রেখাকেও খুব কম বয়সে, ৯ বছর বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে উপার্জনের পথ বেছে নিতে হয়।

REKHA AND JEMINI GANESAN

রেখা এও বলেছিলেন তার অন্যান্য ভাই-বোনেরাও তার সঙ্গে একই স্কুলে পড়াশোনা করতেন। জেমিনি তার অন্যান্য সন্তানদের যখন স্কুলে দিতে আসতেন তখন দূর থেকে তিনি তার বাবাকে দেখতেন। তবে তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ তার হত না। রেখার আসল নাম ছিল ভানুরেখা। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সময় তার নাম হয় শুধু রেখা। তিনি নিজের নামের পাশে বাবার পদবী কোনদিনও বসেননি।