১৯৮৭ সালে টেলিভিশন জগতের একটি বিখ্যাত ধারাবাহিক ছিল রামায়ণ (Ramayan)। এই রামায়ণের জনপ্রিয়তা আজও মানুষের মনে একই ভাবে বজায় রয়েছে। এই রামায়ণে রামের ছেলে লবের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ময়ূরেশ ক্ষেত্রমদে (Mayuresh Kshetramade)। কিন্তু এই একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেই অভিনয় জগতকে বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি। কোথায় রয়েছেন এখন তিনি? কী করছেন এই অভিনেতা?
লবের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ময়ূরেশ ক্ষেত্রমদে
রামায়ণ ধারাবাহিকে যারা অভিনয় করেছিলেন, তারা আজও সেই চরিত্রের জন্যই বিখ্যাত। তবে ধারাবাহিকে রাম সীতা এবং লক্ষণের চরিত্রে যারা অভিনয় করেছেন তাদের আমরা খুব ভালোভাবে চিনলেও রাম এবং সীতার দুই পুত্রকে কিন্তু অনেকেরই মনে নেই। রাম এবং সীতার দুই সন্তানের মধ্যে লবের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ময়ূরেশ ক্ষেত্রমদে, কুশের ভূমিকা অভিনয় করেছিলেন স্বপ্নীল যোশী।
রামায়ণের পরে কেন আর কোথাও অভিনয় করেননি পর্দার লব?
রামায়ণের কুশ অর্থাৎ স্বপ্নীল অভিনয়কেই নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন পরবর্তী সময়ে। বর্তমানে হিন্দি এবং মারাঠি সিনেমা জগতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন স্বপ্নীল। কুশের ভূমিকায় অভিনয় করার পর কৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তিনি। কিন্তু ময়ূরেশ অভিনয় পেশা ছেড়ে দিয়ে বেছে নিয়েছিলেন অন্য পথ।
ময়ূরেশ ক্ষেত্রমদের ছোটবেলা
১৯৭৬ সালে মুম্বাইয়ের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন অভিনেতা। বাবা-মা এবং ভাইকে নিয়ে ছোট্ট একটি পরিবার ছিল তার। ছোটবেলা থেকে অভিনয়ের প্রতি ভালোলাগা ছিল বলে ৫ বছর বয়সেই রামায়ণে লবের ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। কিন্তু যখন রামায়ণ শেষ হয় তখন তার ১৩ বছর বয়স। পড়াশোনায় ক্ষতি হয়ে যাওয়ার ভয়ে তিনি ছেড়ে দেন অভিনয়।
রামায়ণ ধারাবাহিকটি শেষ সবার পর অভিনেতার মনে হয় তার পড়াশোনায় মন দেওয়া উচিত। কুশ পর্ব শেষ হওয়ার পর তিনি পড়াশোনায় মন দেন। স্কুল এবং কলেজের পড়াশোনা শেষ করে আমেরিকায় পাড়ি দেন উচ্চশিক্ষা অর্জন করার জন্য। টেক্সাসে অর্থনীতিতে এম এস সম্পন্ন করে শুরু করেন নিজের ক্যারিয়ার।’
আরও পড়ুন : শেষ বয়সে দেউলিয়া, পাশে ছিল না পরিবার! রামায়ণখ্যাত অভিনেতার পরিণতি হয় খুবই মর্মান্তিক
আরও পড়ুন : রামায়ণের ‘জাম্বুবান’ আসলে কে? রইল মুখোশের আড়ালের সেই অভিনেতার আসল পরিচয়
এখন কী করছেন ময়ূরেশ ক্ষেত্রমদে?
জানা গেছে, ২০০৩ সালে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কে একজন গবেষক হিসেবে নিজের কর্ম জীবন শুরু করেন তিনি। ২০১৬ সালে তিনি কমিশন জংশনে যোগদান করেন এবং ২০১৯ সালের মধ্যে কোম্পানির সিইও পদে পৌঁছে যান। প্রাক্তন এই অভিনেতার নেতৃত্বে ২০২২ সালে এই কোম্পানির বাজার মূল্য হয়ে যায় ১৪০০ কোটি টাকা। এই মুহূর্তে তিনি গোটা পরিবারের সঙ্গে থাকেন নিউইয়র্কে।